ঊষার আলো রিপোর্ট : গত ২৪ ঘন্টায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৩০ জুন বুধবার ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ১২ জন। এর আগের দিন ২৯ জুন মঙ্গলবার সর্বোচ্চ রেকর্ড ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে এই হাসপাতালে।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের মধ্যে এই ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসে ১ জুন সকাল ৮টা থেকে ৩০ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছে ৩৫৫ জন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, মৃত ১২ জনের মধ্যে ৫ জন করোনা পজিটিভ ছিল। আর অপর ৭ জন ভর্তি ছিল করোনার উপসর্গে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে রাজশাহী জেলার ৮ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ২ জন ও নাটোর জেলার ১ জন, নওগাঁ জেলার ১ জন।
বয়স বিবেচনায় মৃতদের ষাটোর্ধ্ব ৪ জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৫০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৪০ এর মধ্যে ১ জন। তবে ৩০ বছরের মধ্যে কারও মৃত্যু হয়নি আজ। রাজশাহীর ২টি পিসিআর ল্যাব গত মঙ্গলবার মোট ৬৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে ২৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা শনাক্তের হার রাজশাহী জেলায় বেড়ে ৩২ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা শনাক্তের হার ৫০ শতাংশে উঠেছে। এছাড়া নওগাঁ জেলায়ও করোনা শনাক্তের হার বেড়ে ৪৭ দশমিক ৭৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
শামীম ইয়াজদানী আরো বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পজিটিভ ও করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৬৩ জন। এর মধ্যে রাজশাহী জেলাই রয়েছে ৪৩ জন। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ৮ জন, নাটোর জেলার ৪ জন, নওগাঁ জেলার ৬ জন, পাবনা জেলার ২ জন রোগী রয়েছে। ৩০ জুন বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে মোট ৪৬০ জন। অথচ হাসপাতালে করোনা ডেডিকেটেড শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর পরও রয়েছে ৪০৫টি। গত ২৭ জুন রামেক হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন যুক্ত করে এই ওয়ার্ডটিও কভিড ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হয়। এই ওয়ার্ডের শয্যা সংখ্যা রয়েছে ৪৮টি। আগে হাসাপাতালের ডেডিকেটেড শয্যা সংখ্যা ছিল ৩৫৭টি। এর সাথে ৪৮টি শয্যা বেড়ে ৪০৫টি দাঁড়িয়েছে। এর পরও ধারণ ক্ষমতা থেকে বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। ৪০৫ জনের বাইরের রোগীরা হাসপাতালের মেঝেতে এবং ওয়ার্ডের বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বর্তমানে রামেক হাসপাতালে ৪ নম্বর ওয়ার্ডটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন সংযোজনের কাজ চলছে। এখানে ৪৫টি শয্যা রয়েছে। এটি হবে করোনা ইউনিটের সর্বশেষ সংযোজন। কারণ এরপর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আর কোনো ওয়ার্ড নতুন করে করোনা ইউনিটে সংযুক্ত করা সম্ভব নয় বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
(ঊষার আলো- এম.এইচ)