ঊষার আলো ডেস্ক : কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ-কারণ, পরোয়ানা ছাড়াই খুলনা মহানগর যুবদলের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগরের বাড়িতে গভীর রাতে খুলনা সদর থানা পুলিশ গ্রেফতার অভিযান চালানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, একটি জাতীয় দৈনিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপির বিরুদ্ধে বিদ্বেষমুলক সংবাদ প্রচার করায় কিছু বিএনপি কর্মি সমর্থক বিক্ষুদ্ধ হয়ে বুধবার পত্রিকাটির কয়েকটি কপিতে আগুন দেয়ার কথা থানা পুলিশ কারণ হিসেবে জানিয়েছে। যদিও পত্রিকার পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের হয়নি। দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির বহুমাত্রিক পর্যায় এ ধরনের ঘটনা সকল রাজনৈতিক দলের কর্মীদ্বয়রা করে থাকে যা বিক্ষুদ্ধ স্বতঃফুর্তার মাধ্যমে ঘটে থাকে। কিন্তু এর প্রতিক্রিয়ায় করোনাকালীন সময়ে অভিযোগবিহীন ও তদন্ত ছাড়াই গভীর রাতে রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িতে গ্রেফতার অভিযান কতখানি যুক্তিযুক্ত ও আইন সম্মত তা ভেবে দেখার জন্য নেতৃবৃন্দ কেএমপির কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
এ ধরনের অভিযান রাজনৈতিক মহলে ভীতিসঞ্চার করে যা মোটেই কাম্য নয়। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ও দেশ পরিচালনাকারী দল। দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করছে বিএনপি। জনগণের ভোট সঠিক প্রয়োগ হলে ক্ষমতায় অবশ্যই থাকতো জনপ্রিয় দল বিএনপি। সেই দলের কর্মিদের বাড়িতে হয়রানি করা রাজনৈতিক ও মানবাধিকার লংঘন এবং বেঅইনী। সাংবিধানিক আইন অনুযায়ি নিবন্ধিত দল হিসেবে বিএনপি জনগণের পক্ষে কথা বলা ও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে বাঁধা দেয়া সাংবিধানিক অধিকার লংঘন।
খুলনা মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগরের বাড়িতে গভীর রাতে গ্রেফতার অভিযানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আরো বলেছেন, পুলিশ বিএনপি প্রতিপক্ষ নয়, প্রতিপক্ষ এ দেশে ফ্যাসিষ্ট সরকার ও তার শাসন। বিএনপি পুর্বের ন্যায় বিনা বাঁধায় পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে সকল রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে চায়। বিবৃতিদাতা নেতৃবৃন্দরা হলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউলাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, এড. বজলুর রহমান, এড. এস আর ফারুক, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।