UsharAlo logo
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৌলতপুরে মাস্ক পরিধানে অনীহা, বাড়ছে ঝুঁকি

usharalodesk
মার্চ ১৮, ২০২১ ৮:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বড়তে শুরু করেছে। তবে দেশে যে নতুন করে বৈশ্বিক মহামারী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াসহ মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে যেন প্রায় ভূলেই গেছে দৌলতপুরের সর্বস্তরের মহল তবুও এই কঠিন পরিস্থিতিকে তোয়াক্কা না করে স্বাভাবিক গতিতে চলছে দৌলতপুরের অধিকাংশেই জীবনযাত্রার মান। আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পেলেও দৌলতপুরবাসীর মধ্যে তেমন কোন মিশ্র প্রতিক্রিয়া প্রতীয়মান হচ্ছে না। কিছুদিন পূর্বে প্রায় সর্বত্র করোনা আতংঙ্ক বিরাজ করলেও পরবর্তীতে করোনার ছোয়া কিছুটা হ্রাস পাওয়ার দরুন জনসাধারনের চলাচলে প্রায় সর্ম্পূনভাবেই শিথিলতা নেমে আসে। পূর্বে নিয়মিত মোবাইল কোর্টের অভিযানের মাধ্যমে মামলা, আটক, অর্থদন্ড অব্যাহত ছিল। তবে হঠাৎ মোবাইল কোর্টের অভিযান কিছুটা শিথিল থাকা এবং বর্তমান সময়ে করোনা টিকা প্রয়োগের কারনে অনেকেরই ধারনা জন্ম নিয়েছে করোনা ভাইরাস আর নতুন করে সংক্রমিত করবেনা। তাই স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে নেমে এসেছে উদাসীনতা। যে কারনে নগরীর দৌলতপুর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধির আলোকে সামাজিক দূরত্ব আর মাস্ক ব্যবহারে উদাসীন অনেকেই। সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতপুরের সবজির বাজারে মাছ, মাংসের দোকানে, বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে, চায়ের দোকান, শপিংমল, যানবহন, হোটেল-রেস্তারা, পাড়া-মহল্লা, অলি-গলিতে মাস্ক ছাড়াই অবাদে চলাচল করছে প্রায় সকলেই। ফলে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ভয় থেকে যাচ্ছে সংক্রমনের।
নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ বরকত আলী বলেন, মাস্ক মুখে সঠিক উপায়ে ব্যবহার না করলে আক্রান্তের ঝুঁকি অবশ্যই বাড়বে। কেননা হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে এ ভাইরাসটি ছড়ায়। মাস্ক ব্যবহারে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণে সমস্যা ছাড়া আরও কিছু সমস্যা হয়। তারপরও নিজে, নিজের পরিবার ও নিজের কমিউনিটিকে রক্ষা করার জন্য কষ্ট হলেও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
এ বিষয়ে ৫নং ওয়ার্ডের সুযোগ্য কাউন্সিলর ও আ’লীগ নেতা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, বর্তমান করোনার পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটা বেড়েতে শুরু করেছে। যে কারণে এখন থেকে সবার সচেতনতা প্রয়োজোন। যেহেতু করোনা হাঁছি-কাশির মাধ্যমে ছড়াই, তাই সকলকে বাধ্যতা মূলক মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। তবে আমরা দৌলতপুরে রাস্তায় নামলে অধিকাংশের মুখে মাস্ক দেখি না এটা দুঃখ জনক।
ইজিবাইক চালক আকতারুজ্জামান ডালিম বলেন, মাস্ক কাছে আছে, তবে পড়া হয়নি। মাস্ক পড়লে যে করোনা হবে না এমন কোন গ্যারান্টি কি আছে। তবে পড়া উচিত বলে জানান।
এ বিষয়ে খুলনা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক বলেন, আমরা মাস্ক পরিধানের উপর প্রথম হতেই কঠোর অবস্থানে ছিলাম তবে যেহেতু। সাম্প্রতিক করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে সংখ্যা বাড়ছে সে কারণে আমরা সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি এবং বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানে অভিযান অব্যহত আছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে হলেও অসচেনতা আর মাস্ক ব্যবহারে অনীহা ,স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করার দরুন দৌলতপুর থানাধীন এলাকাবাসী প্রতিনিয়ত থাকছে নতুন করে করোনার সংক্রমনের চরম ঝুঁকির মধ্যে।

উষার আলো-এমএনএস