UsharAlo logo
শনিবার, ২৮শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দৌলতপুরে ঈদ কেনাবেচায় ভিড়, বাড়ছে ঝুঁকি

koushikkln
জুলাই ১৬, ২০২১ ৮:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : গত ১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে ঈদকে সামনে রেখে লকডাউনের শিথিলকরায় খুলে দেয়া হয়েছে বাজার, দোকান-শপিংমল, আধুনিক বিপনীকেন্দ্র। করোনা আতংকের মধ্যেও ইতিমধ্যেই দৌলতপুরে সাড়া মিলতে শুরু করেছে ঈদ কেনাকাটার।
সরেজমিনে, ১৬ জুলাই, শুক্রবার ছিল সপ্তাহের ছুটির দিন। ছুটির দিনে অনেকেই পরিবারের স্বজনদের কেনাকাটা করার উদ্দেশ্য ঘর ছেড়ে ঘরবন্দি মানুষ বাজারমুখী হয়েছে। হুমমুড় খেয়ে শিশু, তরুন-তরুনী সহ সকল বয়সী মানুষের বাজারে আনাগোন দেখা যায়। যেখানে নাম মাত্র স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। নেই মুখে মাস্ক বা সামাজিক দূরত্ব। যে কারণে দৌলতপুর থেকে যাচ্ছে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।
তবুও ব্যবসায়ীদের পিছিয়ে পরা ব্যবসার মুনাফা অর্জনে নতুন উদ্দ্যেমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দৌলতপুরের সকল পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা ঈদে সকল দোকানপাট, শপিংমল বিপনীকেন্দ্র গুলো থরে বিথরে সাজানো হচ্ছে অভিজাত পোশাক, বিভিন্ন প্রকারের বাহারী শাড়ি, থ্রি-পিস, বাচ্চাদের বাহারী পোশাক, পাজ্ঞাবী, দেশী-বিদেশী প্যান্ট, জুতা সান্ডেল, বেল্ট, প্রসাধনী ইত্যাদি’র মাধ্যমে। একই সাথে বাজারে সরকারী স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ নিশ্চিতকরণের জন্য কেএমপি পক্ষ হতে নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা। দৌলতপুরস্থ কেসিসি মার্কেট, মোর্ত্তজা ম্যানশন, আফসানা ম্যানশন , দৌলতপুর বাজার সম্মুখ দোকান, বেক ডি’ কেক, চানদীনা পট্টি, গার্মেন্টস্ পট্টি, আশা বস্ত্রালয়, প্রবীর ক্লথ স্টোর, শিহাব ফ্যাশন, আফসানা ম্যানশন, শীতল ফ্যাশন, আচল ফ্যাশন, অমি শপিংমল, মিশন এন্ড লিখন গার্মেন্টস্, সেইফ এন্ড সেইভ, জে.কে শপিং কর্ণার, নিউ কালেকশন, ফাস্ট চয়েজ, ফারিহা ফ্যাশন, রিয়াজ সু, সালমান সু, স¤্রাট সু, ওয়েলকাম সু, মের্সাস সংসার, সংসার সু, বাটা সু সহ সকল আধুনিক বিপনন কেন্দ্র গুলোতে পুরাদমে কেনাবেচা শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। মিলছে কাংক্ষিত ক্রেতা সাড়াও। শপিংমল গুলোতে নজরকাড়া ভীড় পরিলক্ষিত হয়েছে। লকডাউনে ব্যবসায় পিছিয়ে পরা লোকসান কাটিয়ে তুলতে ব্যবসায়ীরা নতুন বিনিয়োগসহ নিয়োগ করেছে নতুন নতুন কর্মচারী।
জে.কে শপিং কর্নারের বিক্রেতা জানান, লকডাউন শেষে দোকানে কেনাবেচা শুরু হয়েছে, সাড়া ভালো। প্রতিবছরই ইন্ডিয়ান সিরিয়ালের মেয়েদের বা বাচ্চাদের পোশাক নাম ধরে চেয়ে নেই। কিন্তু এ বছর করোনার কারণে সিরিয়ালের পোশাকই নেই। মেয়েদের লং গাউন, ছোটদের স্কার্ট, ফ্রক, আর টপস্সহ আধুনিক বিভিন্ন ডিজাইনের লেডিস আইটেম রয়েছে প্রতিষ্ঠানে।
ওয়েলকাম জুতা এর মালিক শরীফ মোড়ল জানান, ঈদ উপলক্ষে আমাদের প্রতিষ্ঠানে হরেক ডিজাইনের জুতা-সেন্ডেল উঠিয়েছি সব বয়সের ক্রেতাদের জন্য। লকডাউন শিথিলতার পর বেশ সাড়া মিলছে। প্রধাসনী বিক্রেতা মুরাদ জানান, ঈদ উপলক্ষে চুড়ি, কাঁকড়া, আইলিনার, মাসকারা, কানের দুল, কাজল, সেট, ক্রিম, পারফিউম, মেহেদী সহ বিভিন্ন ধরণের প্রসাধনী কিনছে উঠতি তরুনীসহ বাচ্চারা। সাড়া ভালো। বাজারে আসা ক্রেতা শামিমা সুলতানা জানান, কখন আবার লকডাউন দিয়ে বসে সরকার ঠিক নাই, কারণ করোনা পরিস্থিতি ভালো না। তাই কেনাকাটার জন্য বাজারে এলাম। সবমিলিয়ে দীর্ঘদিনপর লকডাউন শেষে ক্রেতা সমাগমে মুখরিত আধুনিক বিপনীসহ সকল মার্কেটগুলি, তবে চোখে মিলছেনা স্বাস্থ্যবিধি। বিশেষ করে মাস্ক এর ব্যবহার আর সামাজিক দূরত্ব।