ঊষার আলো ডেস্ক : আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বাঙালি জাতিকে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখিয়েছিলেন। ছাত্রদের সামনে এক টুকরো হাড় হাতে নিয়ে বুনসেন বার্নারে পুড়িয়ে মুখে পুরে দিয়েছিলেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়। ছাত্রদের শেখালেন, এটা ক্যালসিয়াম ফসফেট। এছাড়া আর কিছুই নয়। সেটা কোন প্রাণীর হাড় তা-ও আর চেনার উপায় রইল না। রসায়ন দিয়ে শুধু রসায়ন শিক্ষাই নয়, ছাত্রদের মনে ধর্মান্ধতার মূল উপড়ে ফেলার মন্ত্রটিও প্রবেশ করিয়ে দিতেন তিনি। যত টুকু দরকার, তার বাইরে কতটুকুই বা পড়ার আগ্রহ আছে আমাদের বইবিমুখ আগামীর? অথচ, বই পড়ার আগ্রহ থেকেই জন্ম হয়েছিল এই বাঙালি মনীষীর। নিজের সফলতাকে পৌঁছে দিতে পেরেছিলেন সার্থকতার শিখরে। এভাবে বললেন জন্মদিনের আলোচনায় বক্তারা।
সোমবার (০২ আগস্ট) বিকাল ৩টায় বিএমএ মিলনায়তনে এপিসি ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিমিটেড ও গুণীজন স্মৃতি পরিষদ এর উদ্যোগে “ বিশ^বরেণ্য বিজ্ঞানী স্যার আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়” এর ১৬০ তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় এর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন এপিসি ফার্মাসিউটিক্যালস্রে ব্যবস্থাপক পরিচালক ও গুণীজন স্মৃতি পরিষদের উপদেষ্ঠা ডা: শেখ বাহারুল আলম । সভায় সঞ্চালন করেন গুণীজন স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শ্যামল সিংহ রায়, নাগরিক সমাজের আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আ ফ ম মহসীন , সিটি ল কলেজের অধ্যক্ষ এম এ আউয়াল রাজ, গুণীজন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি এ্যাড. শামীমা সুলতানা শীলু, লেখক ও সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক হুমায়ন কবির ববি, খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক আবুল ফজল, সাংস্কৃতিক কর্মি মাছুদ মাহমুদ, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুন্ডু, রতন কুমার নাথ, ডাঃ জওহর লাল সিংহ, ডাঃ বাপী রায়, আমরা খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান খোকন, খুলনা আর্ট স্কুলের পরিচালক বিধান চন্দ্র রায়, জনউদ্যোগ যুব সেলের রিপন কুমার বিশ^াস প্রমুখ।