ঊষার আলো প্রতিবেদক: নগরীর নিরালা আবাসিক এলাকায় সামিউজ্জামান সামি(১২) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইনামুল হাসান (৫০) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করেছে।
রবিবার রাতে ভিকটিম শিশুটির পিতা বাদী হয়ে খুলনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন (যার নং-৭)। আটককৃত আসামী ইনামুল হাসান(৫০) ইসলাহুল উম্মাহ তালিমুল কুরআন মাদ্রাসার শিক্ষক। সে নিরালা বাগমারা ২নং ক্রস রোডস্থ মুন্সি বাড়ীতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার উখিয়া গ্রামে।
মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, গত ২৯ জুুলাই রাত ৯টা ১০ মিনিটে এবং ৩০ জুলাই সকাল ৭টা ২০ মিনিটে নগরীর নিরালা আবাসিক এলাকাস্থ ইসলাহুল উম্মাহ তালিমুল কুরআন মাদ্রাসার ২য় তলার অফিস কক্ষে ওই মাদ্রাসার হেফজোখানার ভুক্তভোগী ছাত্রকে ডেকে নিয়ে যায় আসামী ইনামুল। এরপর দুদফায় ১২ বছরের ওই শিশুকে উলঙ্গ করে বিভিন্ন স্পর্শ কাতর জায়গায় হাত দেয়। এমনকি ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করেন। এরপর শিশুটি গত ১ আগস্ট বিকেলে ফোন করে তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়। তার পরিবার তাকে মাদ্রাসা থেকে পশ্চিমপাড়া বাশতলা এলাকার নিজ বাসায় নিয়ে আসে এবং খুলনা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের হয়।
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আল মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ইনামুলকে রবিবার রাতেই নিরালা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আসামিকে আদালতে সোর্পদ করা হয়। বিজ্ঞ আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি আরও বলেন, ওই ছাত্রের মেডিকেল সম্পন্নের পর তাকে পরিবারের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।