ঊষার আলো ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে চীনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ও বন্যা, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বেশ কয়েকটি দেশে ভয়ানক দাবানল ও তাপপ্রবাহের পর আরও এক নতুন রেকর্ড।
সারা বছর বরফে ঢেকে থাকা গ্রিনল্যান্ডে বিরল বৃষ্টিপাতের ঘটনা ঘটেছে এ চলতি মাসেই। তাহলে কি দেশটিতে আশঙ্কাজনকভাবে গলতে থাকা বরফে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে কয়েকটি দেশ তলিয়ে যাওয়ার বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাসকেই সত্যি করতে যাচ্ছে!
সারা বছর বরফে ঢেকে থাকা গ্রিনল্যান্ডে ফ্রিজিং টেম্পারেচারের বেশি তাপমাত্রাই উঠে খুবই কম। সেখানেই এখন বৃষ্টিপাতের একটি বিরল রেকর্ড হল। গড় তাপমাত্রার চেয়ে কয়েকগুন বেড়ে যাওয়ায় এ বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্নো এন্ড আইস ডাটা সেন্টারের বিজ্ঞানীরা।
গত সপ্তাহে টানা তিনদিনের বৃষ্টিপাতে প্রায় সাতশ কোটি টন পানি ঝরেছে বরফের উপর। ১৯৫০ সাল থেকে দেশটির আবহাওয়ার তথ্য রেকর্ড শুরুর পর এটিই প্রথম বৃষ্টি হওয়ার কোনো ঘটনা। অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতে এটাই প্রমাণ হচ্ছে যে, গ্রিনল্যান্ডের তাপমাত্রা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার আগে গত জুলাইয়ে ডেনমার্কের এক বিজ্ঞানী জানিয়েছিলেন, দেশটিতে প্রতিদিন আটশ কোটি টন বরফ গলে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্নো এন্ড আইস ডাটা সেন্টারের বিজ্ঞানী ওয়াল্ট মেয়ার জানান, ‘বৃষ্টিপাতের এধরনের ঘটনা এখানে আগে কখনোই ঘটেনি। অন্যান্য স্থানে ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়লে কারও চোখেও পড়বে না। তবে এখানে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ঘটনা ভয়ানক কিছুর পূর্বাভাস দেয়। হয়তো সামনে আরও বড় তাপপ্রবাহ বা দাবানলের মতো কোন দুর্যোগ অপেক্ষা করছে।
জানুয়ারিতে এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই হারে দেশটির বরফ গলতে থাকলে ২১০০ সাল নাগাদ বিশ্বে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা প্রায় ১৮ সেন্টিমিটার বাড়বে। আর যা কয়েকটি দেশ তলিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ঠ।
(ঊষার আলো-এফএসপি)