মোংলা প্রতিনিধি : মোংলা বন্দরের আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্য গতিশীল করতে বন্দর কর্তৃপক্ষের সভা কক্ষে পণ্য আমদানী-রপ্তানীকারকসহ বন্দর ব্যবহারকারীদের মতবিনিময় সভা বুধবার (১০ নভেম্বর) বিকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বন্দরের সদস্য (অর্থ), সদস্য (প্রঃ ও উঃ), পরিচালক (প্রশাসন), হারবার মাষ্টার, প্রধান প্রকৌশলী (যাঃ ও তঃ), প্রধান অর্থ ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা, প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা, পরিচালক (ট্রাফিক) সহ ট্রাফিক বন্দরের অন্যান্যরা উপস্হিত ছিলেন। সভায় ডেপুটি কাস্টমস কমিশনার, যুগ্ম-কমিশনার, ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) ইপিজেড, সোনালী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংক মোংলা বন্দর শাখার ব্যবস্থাপক, যুগ্ম-পরিচালক, বিএডিসি, ডেপুটি জেনালের ম্যানেজার, বিসিআইসি, সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক, খাদ্য বিভাগ, সভাপতি, খুলনা চেম্বার এন্ড কমার্স, সভাপতি, বাগেরহাট চেম্বার এন্ড কমার্স, সহ- সভাপতি, ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন, চেয়ারম্যান, বিজেএ, সাধারণ সম্পাদক, নোয়াপাড়া সার ব্যবসায়ি সমিতি, সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এ্যাসোসিয়শন, মহাসচিব, খুলনা অভ্যন্তরিন নৌ-পরিবহন মালিক গ্রুপ, সভাপতি, মোংলা সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক, মোংলা বন্দর বার্থ ও শিপ অপারেটর এ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা উপস্হিত ছিলেন।
সভার সভাপতি মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশের সমুদ্র বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দুরদর্শীর কথা, তিনি বলেন বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রেী শেখ হাসিনা’র সরকারের এ বন্দরের উন্নয়নে গৃহীত নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ ও প্রকল্প প্রনয়ণ যেমনঃ দক্ষিন অঞ্চলের ব্যবসা-বাণ্যিজের দূরত্ব হ্রাসে পদ্মা ব্রীজ নির্মাণ, খুলনা-মোংলা রেল লাইন নির্মাণ, খানজাহান আলী বিমান বন্দর নির্মাণ প্রভৃতি মৃতপ্রায় মোংলা বন্দরের প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরিয়ে এনেছে। এবন্দর কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব চলাকালিন সময়েও অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে সর্বোচ্চ জাহাজ আনায়ন ও কার্গো হ্যান্ডলিং করে বন্দরের রাজস্ব আয়ের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে ।
তিনি সরকার গৃহীত EASE OF DOING BUSINESS পরিকল্পনার গুরুত্ব উল্লেখ করে উহা বাস্তবায়নে সম্ভব্যকরনীয় সকল বিষয়ের দিক নির্দেশনা প্রদাণ করেন। তিনি উপস্হিত আমদানি-রপ্তানিকারকসহ অন্যান্য বন্দর ব্যবহারকারীদের বন্দরের পক্ষ হতে সর্বোচ্চ সহযোগীতা প্রদাণের নিশ্চয়তা প্রদাণ করেন। একই সাথে তিনি বন্দরের নাব্যতা সংকট দূরীকরণে গৃহীত ড্রেজিং প্রকল্প সম্পন্ন, বন্দরের মাষ্টার প্লান বাস্তবায়ন, নতুন জেটি নির্মাণের বিষয় উল্লেখ করে বন্দর ব্যবহারকারীদের বিদ্যমান অসুবিধা নিরসনে সংশ্লিষ্ট সকলকে আঞ্চলিকতার উর্দ্ধে থেকে বন্দরকে আর্ন্তজাতিক বন্দরে রুপান্তরে সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।