ঊষার আলো ডেস্ক : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, খুলনা মহানগর শাখার উদ্যোগে সংগঠন কার্যালয়ে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক ছাত্রনেতা মুক্তা বাড়ৈ। মহানগর কমিটির আহ্বায়ক নভোজ্যোতি সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেনÑসমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট খুলনা জেলা সভাপতি আব্দুল করিম, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, খুলনা জেলা সভাপতি কোহিনুর আক্তার কণা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, খুলনা জেলা সভাপতি সনজিত ম-ল, মহানগর কমিটির সদস্য সৈয়দ মারদান শেখ, পুষ্পক রায় তপু, অমৃত বিশ্বাস, মাহিলা আক্তার আনিকা, জেসমিন ইসলাম জারা, জান্নাতুল ফেরদৌসী রিক্তা, জান্নাতুল মাওয়া মুক্তা প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ৫০ বছর পূর্বে বাংলাদেশের জনগণ যে আকাক্সক্ষা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন সেখানে একটি গণতান্ত্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার আকাক্সক্ষা ছিল প্রবল। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরেও আমরা আমাদের দেশের জনগণের কাছে শিক্ষা পৌঁছে দিতে ব্যর্থ। আমাদের শিক্ষা এখন টাকার ছাড়া অর্জন করা অসম্ভব। শিক্ষা এখন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। ফলে শিক্ষা নিয়ে রাষ্ট্রের যে দৃষ্টিভঙ্গী তা আমাদের সমাজ বিকাশে এবং আগামী প্রজন্মকে শিক্ষিত করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা। আমরা দেখেছি করোনাকালীন ১৮ মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছুটি তারিখ পরিবর্তন করা ছাড়া কোনো উদ্যোগই নেয়নি। সমস্যাকে মোকাবেলা করে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা আমাদের প্রত্যাশা ছিল। সম্প্রতি একটি গবেষণা পিপিআরসি ও বিআইডিডি বলেছে ২০২০ সালে জুন মাস থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত শিক্ষার ব্যয় বৃদ্ধি ১২ গুণ। করোনাকালে কোনো প্রতিষ্ঠানের বেতন ফি মওকুফ করা হয়নি। এ সময় ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থী মানসিক চাপে পড়েছে। গত ১৮ মাসে আত্মহত্যা করেছে প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থী। একদিকে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান কমে যাওয়া, অপরদিকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো তদারকী না থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিক্ষাকে সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার যে আন্তরিক প্রচেষ্টা তাছাড়া প্রকৃতপক্ষে সভ্য ও মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার ঘাটতিগুলো গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিরসন করে একটি সার্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, সেক্যুলার, একই ধারার শিক্ষা নিশ্চিতের দাবী জানানো হয়।