১০ জন আহত, একপক্ষের বাড়ীঘর লুটপাট অব্যাহত
আরিফুর রহমান, বাগেরহাট : বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় ইউপি নির্বাচন সংক্রান্ত কোন্দলে আসাদ শেখ (৭০) নামে এক বৃদ্ধ খুন ও উভয় দলের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়নের শাসন গ্রামে ২নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মামুন শেখ ও কিবরিয়া শরীফের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আহতদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বৃদ্ধ আসাদ শেখ গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যান। স্খানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় পুলিশ। এলাকাবাসী বলছে নির্বাচনী পোস্টার ছেড়াকে কেন্দ্র করে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে এদিন বিকেলে কথাকাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে সন্ধ্যায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এবং বৃদ্ধ আসাদ খুন হয়েছে। নিহত আসাদ শেখ মেম্বর প্রার্থী মামুন শেখের চাচা। আর এ খুনকে কেন্দ্র করে মামুনপক্ষের লোকেরা রাতভর ওই গ্রামে প্রতিপক্ষ মেম্বর প্রার্থী কিবরিয়া শরীফ সমর্থকদের বাড়িঘর ভাংচুর ও মালামাল লুট অব্যাহত রেখেছে। এদিকে পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রিপন শরীফ, মাহবুব শরীফ ও এনামুলের নাম জানা গেছে। চলমান ইউপি চেয়ারম্যান তানজিলের সমর্থতিত মেম্বর প্রার্থী কিবরিয়া শরীফ শুক্রবার (২ এপ্রিল) সকালে জানান, ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার সময় বর্তমান মেম্বর মামুনের লোকজন আমার কর্মী-সমর্থকদের আকস্মিক হামলা করে। পরবর্তীতে সংঘর্ষে রুপ নেয়। এতে আমাদের অনেক লোক আহত হয়েছেন। আর আসাদ শেখ হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামুন গ্রুপের লোকেরা রাতভর আমার কর্মী-সমর্থকদের বাড়ী ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে শাসন গ্রামের সবেদ মোল্লার বাড়িতে ব্যাপক তান্ডব চালিয়ে কয়েককোটি টাকার ক্ষতি করেছে। এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বর্তমান ইউপি সদস্য মামুন শেখ বলেন, কিবরিয়া শরীফ ও তার লোকেরা আমার নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা ও আমার কর্মীদের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। কেন এসব করছে তা জানতে চাইলে কিবরিয়ার লোকেরা আমাদের উপর চড়াও হয়। তাদের ধারালো অস্ত্রের কোপে আমার চাচা আহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পরে আমার চাচা মারা যান। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই। মোল্লাহাট থানার ওসি কাজী গোলাম কবির বলেন, ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিম মোতায়ন করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত হবে। শুক্রবার (২ এপ্রিল) বেলা ১১ পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি এবং কাউকে আটক করা যায়নি। বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর শাফিন মাহমুদ বলেন, দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আসাদ শেখ নামের একজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
(ঊষার আলো-এমএনএস)