ঊষার আলো রিপোর্ট : আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট প্রাক্কলন করা হয়েছে। যা দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ ও চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ৭৫ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা বেশি। আগামী অর্থবছরের বাজেটের ঘাটতিই ধরা হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা।
নতুন অর্থ বছর শুরুর দু’মাস আগে আগামী রবিবার (১৭ এপ্রিল) ‘বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির’ সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।
সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরের প্রাক্কলিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭.৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭.২ শতাংশ। আগামী অর্থবছরের প্রাক্কলিত মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫.৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা ৫.৩ শতাংশ।
আগামী অর্থবছরে মোট আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৯.৯ শতাংশ। চলতি অর্থবছর মোট আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। সে হিসেবে মোট আয় বাড়ছে ৪৮ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছরের মোট আয়ের মধ্যে এনবিআরকে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি জিডিপির প্রায় ৮.৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছর এনবিআরকে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া আছে। সে হিসেবে নতুন অর্থবছরের বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা ৪০ হাজার কোটি টাকা বাড়নোর প্রস্তÍাব করা হবে।
এছাড়া আগামী বাজেটে মোট আয়ের মধ্যে নন-এনবিআর থেকে প্রাক্কলন করা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। কর বহির্ভূত রাজস্ব ৪৯ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
আগামী অর্থবছরের প্রাক্কলিত বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। সে হিসেবে ঘাটতি বাড়ছে ২৮ হাজার ২৬০ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার এডিপির প্রস্তাব করেছেন। আগামী অর্থবছরের জিডিপির আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪৪ লাখ ১৭ হাজার ১০০ কোটি টাকা।