ঊষার আলো ডেস্ক : খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়নের যে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা ধরে রাখতে হলে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বড় করতে হবে। নতুন প্রজন্ম যেন স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানতে পারে সেজন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা রেকর্ড করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এক সময় মুক্তিযোদ্ধারা থাকবেন না কিন্তু তাদের কণ্ঠের এই রেকর্ড যুগ যুগ ধরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়বে।
রবিবার (৮ মে) দুপুরে খুলনার পাইকগাছা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্য করে সাংসদ বাবু আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোলমডেলে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর ২৯ বছর দেশটা পেছন দিকে হেটেছে। গত এক দশকে যে উন্নয়ন হয়েছে আগের ৩০ বছরেও তা হয়নি। দেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। ২০৪১ সালে উন্নত দেশে উন্নীত হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নয়নে সরকার সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা-বোনাস বাড়ানো হয়েছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যুদ্ধের স্থান, বধ্যভূমি ইত্যাদি সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চুর সভাপতিত্বে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার ইকবাল মন্টু, সহকারী পুলিশ সুপার (ডি সার্কেল) মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ শাহরিয়ার হক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ওসি (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম, পৌর প্যানেল মেয়র মাহাবুবর রহমান রঞ্জু, ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলুর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা শরৎ চন্দ্র মন্ডল, রনজিৎ সরকার, অবঃ প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম, আঃ সবুর, আঃ আজিজ, আমজেদ গাজী, মোকসেদ গাজী, আজিজ সরদার, মোহাম্মদ সানা, ফয়জুল্লাহ, দুরজান গাজী, আঃ গফুর, আঃ রাজ্জাক সহ ইউনিয়ন পর্যায়ের বীর মুক্তিযোদ্ধারা।