UsharAlo logo
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

‘দানবীর রায় সাহেব ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক ও জ্ঞান পিপাষু ব্যক্তি’

koushikkln
মে ১০, ২০২২ ৮:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু বলেছেন, তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার বর্তমান খুলনা জেলার দক্ষিণাঞ্চলের পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিতে জন্ম নেওয়া দানবীর রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক ও জ্ঞান পিপাষু ব্যক্তি। তাঁর স্পর্শে কপিলমুনিতে গড়ে উঠেছিল অসংখ্য জনহিতকর প্রতিষ্ঠান। শৈশব ও কিশোর জীবন পেরুতে না পেরুতেই তাঁর সমাজ সাধনার দিন শুরু হয়। তিনি মাত্র ১৩ বছর বয়সে নিজেকে ব্যবসায় জড়িয়ে ফেলেন, তৎকালীণ সময়ে ব্যবসার প্রসার বাড়াতে তিনি কলকাতার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে কপিলমুনির উন্নয়ন কাজ শুরু করেন। তাঁর ব্যবসায়ীক উপার্জনের পয়সা দিয়ে বৃহত্তর কপিলমুনির মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছেন। প্রতিষ্ঠা করেন মায়ের নামে সহচরী বিদ্যামন্দির (বর্তমানে স্কুল এন্ড কলেজ) ও ২০ শয্যা বিশিষ্ট ভরত চন্দ্র হাসপাতাল। পাশাপাশি এলাকার মানুষের বেকারত্ব ঘুচাতে প্রতিষ্ঠা করেন অমৃতময়ী টেকনিক্যাল স্কুল। তাঁর সমাজ সেবার পুরস্কার হিসেবে তৎকালীন সরকার তাঁকে রায় সাহেব উপাধিতে ভূষিত করেন।

মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুরে কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির প্রাঙ্গণে দানবীর রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর ১৩৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। সাংসদ বাবু আরও বলেন, মাত্র ৪৫ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবনের প্রতিটি ক্ষণ সমাজ তথা মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন তিনি। যখন খুলনা অঞ্চলে বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা ছিল না তখন তিনি কপিলমুনি বাজারকে আলোকিত করতে সুদুর কলকাতা থেকে জেনারেটর এনে তার মাধ্যমে আলোর ব্যবস্থা করেন। এলাকার মানুষের সুপেয় পানি পান করানোর জন্য ‘সহচরী সরোবর’ নামে খনন করেন একটি বৃহৎ পুকুর। পাশাপাশি তাঁর নিজ অর্জিত টাকায় ক্রয়করা প্রায় ৫০একর সম্পত্তির উপর প্রতিষ্ঠা করেন ‘বিনোদগঞ্জ’ যা এখন কপিলমুনি বাজার নামে দেশ বিদেশে ব্যাপক পরিচিত। বর্তমানে কপিলমুনিতে হাসপাতাল, খেলার মাঠ ও বিনোদনের জন্য পাবলিক স্টেডিয়াম সবই তাঁর স্মৃতি বহন করে। তিনি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় একই সময় প্রতিষ্ঠা করেন উৎকর্ষ সমিতি ও সিদ্ধেশ্বরী ব্যাংক (বর্তমান বণিক সমিতি)। কপিলমুনিতে ক্ষনজন্মা এই মহা মনিষীর জনহিতকর কর্মকান্ডের জন্য তিনি অত্র এলাকার সকল মানুষের মাঝে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন এবং একইসাথে তার রেখে যাওয়া জনহিতকর কর্মকান্ডের আধুনিকায়নের ও আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে এ্যাড.দিপংকর সাহা’র সভাপতিত্বে দানবীর রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর জীবনাদর্শের উপর আলোকপাত করে বক্তব্য উপস্হাপন করেন সংবর্ধিত অতিথি রায় সাহেবের পৌত্র গৌতম সাধু। ব্যাংকার এম, আবু সাঈদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক পাপ্পু কুমার দে, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দীন ফিরোজ বুলু, ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস, কওছার আলী জোয়াদ্দার, বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা আ’লীগের সদস্য শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত, উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি সমীরন কুমার সাধু, যুগ্ম-সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস, কপিলমুনি ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি যুগোল কিশোর দে, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক জসিম উদ্দীন বাবু, জেলা যুবলীগ নেতা শামিম সরকার, কপিলমুনি বনিক সমিতির সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজু, বিনোদ স্মৃতি সংসদের সম্পাদক তাপস কুমার সাধু, কপিলমুনি কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ বাহার, কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক কবির আহম্মেদ, কপিলমুনি মেহেরুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রহিমা আক্তার শম্পা, যুবলীগ নেতা এম এম আজিজুল হাকিম, আকরামুল ইসলাম, মীর সদরুল আমিন, ছাত্রলীগ নেতা রায়হান পারভেজ রনি প্রমুখ।