ঊষার আলো রিপোর্ট: ঘূর্ণিঝড় ‘আসানি’ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। উত্তাল রয়েছে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর। মঙ্গলবার পটুয়াখালীতে বিকেলের দিকে বৃষ্টির প্রবনতা কমে আসলেও বুধবার (১১ মে) সকাল থেকে আবারো বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
বেড়েছে বাতাসের চাপও। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় আসানি বুধবার সকাল ৬টার দিকে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিলো। তবে ধারণা করা হচ্ছে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এটি দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিনত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে ৫৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আজও পায়রা, চট্রগ্রাম, মোংলা ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রাখতে বলা হয়েছে। এদিকে টানা বর্ষনে উপকূলের অধিকাংশ নিচু এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া বেশির ভাগ মুগডাল ও বোরো ধানের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির ধারা চলমান থাকলে বড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আসানি দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এটি ভারতের অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টির ধারা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
ঊষার আলো-এসএ