UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অ্যাড. লিটনের মদদ দাতা ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবিতে সমাবেশ

koushikkln
মে ১৪, ২০২২ ১০:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : আর কোনো প্রতিবাদ নয়, হামলা হলে প্রতিরোধ নয়, হামলার বদলে হামলা করা হবে। যারাই আমাদের উপর হামলা করবে তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা, পাল্টা আঘাত করে প্রতিরোধ করতে হবে, কাউকে ছাড় দেযার সময় নেই। যারা এডভোকেট ফজলে হালিম লিটনকে হত্যা প্রচেষ্টায় কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে, তাদের রেহাই দেয়ার সুযোগ নেই।

শনিবার (১৪মে) বিকেলে খালিশপুর থানা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সারাদেশে গুম, খুন, হত্যা এবং বিএনপি নেতা/কর্মিদের উপর হামলার প্রতিবাদে ও খালিশপুর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি এডভোকেট ফজলে হালিম লিটন এর উপর নৃশংস হালাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক নেতৃবৃন্দের উদ্যেগে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তরা এসব কথা বলেন।

বক্তরা আরও বলেন, মাসে মাসে না, সপ্তাহে সপ্তাহে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ছে। সরকার ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি। তাই ভবিষ্যতে দ্রব্যমূল্য আরও বাড়বে। মজুতদারদের বিরুদ্ধে লোক দেখানো অভিযান চালানো হচ্ছে। মানুষ খেতে পারছে না। অথচ সরকার টাকা খরচ করে এলইডি স্ক্রিন লাগিয়ে উন্নয়নের প্রচার চালাচ্ছে। সবকিছুতে ব্যর্থ হয়ে আন্দোলনের ভয়ে সরকার পরিকল্পিত ভাবে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে তার সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিচ্ছে। বক্তরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির জোর দাবি জানান। বক্তরা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, শ্রীলঙ্কা থেকে শিক্ষা নিন। শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ভালো ছিল। সীমাহীন দুর্নীতি তাদের কোথায় নিয়ে গেছে। বাংলাদেশের নাগরিকেরাও শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের মতো পাল্টা আঘাত করতে পারে। এই সরকার জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই সরকার দুর্নীতিবাজ আমলা, লুটেরা রাজনীতিবিদ, সামাজিক দস্যু, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্ব করে, এই সরকারের পক্ষে জনগণের অধিকার সংরক্ষণ সম্ভব নয়। জনগণ আপনাদেরকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আপনারা কোনভাবেই জনবান্ধব সরকার নয়। সরকার পতনের আন্দোলনে সকলকে একসাঙ্গে কাজ করার আহবান জানিয়ে বক্তরা বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী শক্তির মধ্যে যখন সুদৃঢ় ঐক্য গড়ে উঠবে, তখনই পরাশক্তি বা ষড়যন্ত্রকারীরা দুর্বল হবে। আর জাতীয়তাবাদী শক্তি যখন খ–বিখ- থাকে তখন সুবিধাবাদী শক্তি শক্তিশালী হবে, লুটপাট বাড়বে, দুর্নীতি বাড়বে।’

খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং ইমতিয়াজ আলম বাবু ও ম শা আলম সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মীর কায়ছেদ আলি। সভায় বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন শেখ ইকবাল হোসেন, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আছাদুজ্জামান মুরাদ, নিজাম উর রহমান লালু, মেহেদী হাসান দিপু, মহিবুজ্জামান কচি, ইকবাল হোসেন খোকন, এড. গোলাম মাওলা, সাদিকুর রহমান সবুজ, নিয়াজ আহাম্মেদ তুহিন, অধ্যাপক অহিদুজ্জামান, কাজী সফিকুল ইসলাম সফি, আবুল কালাম শিকদার, শরিফুল ইসলাম বাবু, মোল্লা মুজিবর রহমান, রফিকুল ইসলাম শুকুর, সামছুর রহমান, এইচ এম আবু ছালেক, আশরাফ হোসেন, ইশহাক তালুকদার, সাহাব উদ্দিন মন্টু, সরদার রবিউল ইসলাম রবি, মহিউদ্দিন টারজান, জাহিদ কামাল টিটু, তৌহিদুল ইসলাম খোকন, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, কাউন্সিলর মাজেদা খাতুন, শাহানাজ পারভিন, সাজ্জাদ আলি, গোলাম কিবরিয়া, মনিরুজ্জামান মনি, কাজী ফজলুল কবির টিটু, আলমগীর হোসেন, কাজী শামীম খান, কাজী ইকরাম মিন্টু, এস এম জসিম উদ্দিন, নুরুল ইসলাম লিটন, বাবুল মুন্সি, নুরে আব্দুল্লাহ, বারেক হাওলাদার, সেলিম বড় মিয়া, শহিদুল ইসলাম, ফজলুর রহমান, মোল্লা আলী আহমেদ, হৃদয় হাসেম, সেলিম কাজী, মাসুদ রেজা, হুমায়ুন কবির, মহিউদ্দিন বাবু, আবুল কালাম, আবু জাফর হাওলাদার, আব্দুল মালেক, মনির হোসেন, শহিদুল ইসলাম বাবু, জামাল হোসেন, মুন্সি আব্দুর রব, লোকমান হোসেন, ওবায়দুর রহমান,নান্টু, আরিফুর রহমান মন্টু, আনোয়ার তারেক, নাসির, হেমায়েত, সেলিম, জসিম, আব্দুল জলিল হাওলাদার, গোলাম রাব্বি, সুমন হোসেন প্রমুখ।

সভার শুরুতে বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও সুস্বাস্থ্যের জন্য দোয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান এর সু-স্বাস্থ্য কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন ওলামা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা আব্দুল গফ্ফার।