ঊষার আলো প্রতিবেদক : খুলনার দুটি খেয়াঘাট ও একটি কাঁচা রাস্তা উন্নয়নে এক সপ্তাহের মধ্যে উদ্যোগ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে খুলনা জেলা পরিষদ। ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোগ কমিউনিটি টাউন হল মিটিংয়ে এ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
বুধবার (২৫ মে) সকালের নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে মাল্টিপার্টি এ্যাডভোকেসী ফোরাম গণগুরুত্ব সম্পন্ন এ তিনটি দাবি উপস্থাপন করে। প্রস্তাবিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া-দৌলতপুর বাজার খেয়াঘাট পুনর্নিমাণ ও পশ্চিমপাড় স্থানান্তর, দাকোপ উপজেলার ৭ নম্বর তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের মোজামনগর খেয়াঘাট নির্মাণ ও রূপসার উপজেলার ঘাটভোট ইউনিয়নের আনন্দনগর গ্রামের এক নম্বর ওয়ার্ডের বদরুদ্দিন সড়ক পাকাকরণ।
ফোরামের যুগ্ম আহবায়ক নারী নেত্রী অ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা শীলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ পাল। বক্তব্য দেন দিঘলিয়া উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মমজাত শিরিন ময়না, ফোরামের সদস্য আব্দুর রশিদ, এ এইচ এম মেহেদী হাসান দিপু, অ্যাডভোকেট তসলিমা খাতুন ছন্দা, অসীম আনন্দ দাস, মিজানুর রহমান জিয়া, জয়ন্তী রাণী সরদার, মো. ইমরান হোসেন প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনালের বিভাগীয় সমন্বয়ক আমেনা সুলতানা। উপস্থিত ছিলেন ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনালের প্রোগ্রাম অফিসার আশরুপা এইচ চৌধুরী, খুলনাস্থ জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা রুবায়েত হাসান। টাউন হল মিটিং সঞ্চালনা করেন ফোরামের সদস্য জেসমিন সুলতানা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, খুলনা জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রিত ভৈরব নদীতে ৯টি খেয়াঘাটের মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ততম দিঘলিয়া দেয়াড়া-দৌলতপুর বাজার খেয়াঘাট। প্রতিবছর এ ঘাট থেকে লাখ লাখ টাকা আয় হলেও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। অপরদিকে দাকোপ উপজেলার ৭ নম্বর তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের মোজামনগর খেয়াঘাটটির উভয় পাড়ে যাত্রী সাধারণ ও মালামাল উঠা-নামার জন্য কোন ঘাট না থাকায় যাত্রীদের প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। তাছাড়া রূপসার আনন্দনগর গ্রামের এক নম্বর ওয়ার্ডের বদরুদ্দিন নিয়ে তিন শতাধিক পরিবার দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
এসব দাবিতে জেলা পরিষদ প্রধান নির্বাহী দ্রুত এ দাবি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেন। তিনি বৃহস্পতিবার থেকেই এ বিষয়ে কাজ শুরু হবে জানান। জেলা পরিষদের প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে দ্রুত প্রকল্প তৈরী ও বাস্তবায়ন হবে বলেও তিনি জানান।