ঊষার আলো ডেস্ক : মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ এম ডি এ বাবুল রানা বলেছেন, খুলনায় মুজিব সৈনিকদের নিয়ে বিএনপি-জামাতকে প্রতিহত করা হবে। বাংলাদেশে যারা পঁচাত্তরের স্বপ্ন দেখছে তাদের সে স্বপ্ন ভেঙে দেয়া হবে। তাদের সমুচিত জবাব দেয়া হবে। যাতে করে আর কোনদিন ১৫ ও ২১ আগস্টের মতো ঘটনা না ঘটাতে পারে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি‘র জন্ম হয়েছে রক্তের মধ্যে দিয়ে। জিয়াউর রহমান দল সৃষ্টি করে অকাতরে এদেশের মেধাবী সেনা অফিসার, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদদের রাতের অন্ধকারে হত্যা করেছে। এখনও অনেক সন্তান জানে না তাদের বাবার কবর কোথায়। জিয়াউর রহমান এদেশে রক্তের হলি খেলেছে। তার উত্তরসূরী হিসেবে খালেদা ও তারেক অকাতরে মানুষকে হত্যা করেছে। দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করেছে। তারা বিডিআর বিদ্রোহ থেকে শুরু করে শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলা এবং গুলশানের হলি অর্টিজনে জঙ্গী হামলা, সারাদেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়ে আইনজীবী সাংবাদিক, সাহিত্যিক, শিক্ষক ও বিচারকদের হত্যা করেছে। এতো অশান্ত পরিবেশকে শান্ত করে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে দাঁড় করিয়েছেন। আজ আবার সূদুর লন্ডনে বসে তারেক রহমান দেশের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ নানা ধরণের ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। তারা এখনো ১৫ আগস্ট সৃষ্টি করতে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। একজন মুজিব সৈনিক থাকতে এদেশে আর পঁচাত্তরের ঘটনা ঘটতে দেয়া হবে না। যারা শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে তাদেরকে খুলনা থেকে বিতাড়িত করা হবে।
শনিবার (০৪ জুন) বিকাল ৪টায় প্রধানন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কটুক্তি ও ছাত্রলীগের শান্তিপূর্ণ মিছিলে নগ্ন হামলার প্রতিবাদে এবং কটুক্তিকারী ও হামলাকারী বিএনপি নেতাকর্মীদের গেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূল শাস্তির দাবীতে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাচ্চু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, উপ-দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মো. শামীম, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, কার্যনিবাহী সদস্য এস এম আকিল উদ্দিন, মহানগর কৃষক লীগের আহ্বায়ক এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মো. সফিকুর রহমান পলাশ, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার ঘোষ, জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারমান চৌধুরী রায়হান ফরিদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল। মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লী নেতা মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. রজব আলী সরদার, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, মো. শাহজাদা, শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, কামরুল ইসলাম বাবলু, বিরেন্দ্র নাথ ঘোষ, শেখ নুর মোহাম্মদ, মাহবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুুকুল, এম এ নাসিম, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, আইরিন চৌধুরী নীপা, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, কাউন্সিলর মো. আনিছুর রহমান বিশ্বাষ, কাউন্সিলর মোজাফফর রশিদী রেজা, কাউন্সিলর কাজী আবুল কালাম আজাদ বিকু, কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম মিঠু, কাউন্সিলর ইমাম হাসান চৌধুরী ময়না, কাউন্সিলর কণিকা সাহা, মো. আমির হোসেন, মো. মোক্তার হোসেন, আলী আকবর মাতুব্বর, তোতা মিয়া ব্যাপারী, সোহেল চৌধুরী, টুটুল মোস্তাক, জামিরুল হুদা জহর, চৌধুরী মিনহাজ উজ জামান সজল, মঈনুল ইসলাম নাসির, ফেরদৌস হোসেন লাবু, বাদল সরদার বাবুল, আব্দুল হাই পলাশ, এ্যাড. মো. ফারুক হোসেন, শেখ আবিদ উল্লাহ, মো. নুর ইসলাম, শেখ জাহিদ হোসেন, মো. জাহিদুল হক, চ. ম. মজিবুর রহমান, মুন্সি আইয়ুব আলী, শেখ আব্দুল আজিজ, মো. রুহুল আমিন, সরদার আব্দুল হালিম, মীর মো. লিটন, মো. মোতালেব মিয়া, মো. জাকির হোসেন, মো. ইউসুফ আলী খান, হাসান ইফতেখার চালু, নজরুর ইসলাম তালুকদার, মো. সিহাব উদ্দিন, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, মো. আজম খান, শেখ এশারুল হক, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, ফায়জুল ইসলাম টিটো, ওহিদুল ইসলাম পলাশ, মো. সেলিম মুন্সি, মুন্সি নাহিদুজ্জামন, এস এম হাফিজুর রহমান, আফরোজা জেসমিন বিথী, রোজী ইসলাম নদী, কাজী কামাল হোসেন, নাসরিন ইসলাম তন্দ্রা, শওকত হোসেন, কবির পাঠান, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, সমীর কৃষ্ণ হীরা, খায়রুজ্জামান টল বাবু, শেখ নজরুল ইসলাম, মো. আইউব আলী খান, মো. শহীদুল হাসান, আসাদুজ্জামান বাবু, মাসুদুর রহমান সোহান, জহির আব্বাস, জব্বার আলী হীরা, সোহান হোসেন শাওন, ইবনুল হাসান, মাহমুদুর রহমান রাজেশ, বায়েজিদ সীনা, জোয়েব সিদ্দিকী, সৈকত কুমার দাস সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ০৪ জুন বেলা ১১ টায় দলীয় কার্যালয় হতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশিদ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড সুজিত অধিকারি, সহ-সভাপতিবৃন্দ যথাক্রমে কাজী বাদশা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. এম এম মুজিবর রহমান, এ্যাডভোকেট রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, বিএমএ ছালাম, এ্যাডভোকেট অধ্যঃ নিমাই চন্দ্র রায়, যুগ্ম-সম্পাদক সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, কামরুজ্জামান জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবু সালেহ, ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মন্ডল, দপ্তর সম্পাদক এম এ রিয়াজ কচি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. রকিকুল ইসলাম লাবু, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কাজী শামীম আহসান, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ রাশেদুল ইসলাম রাসেল, শ্রম সম্পাদক মোজাফফর মোল্যা, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খায়রুল আলম, কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার জিএম মাহবুবুল আলম, আনোয়ারুল ইকবাল মন্টু, অসিত বরণ বিশ্বাস, বুলু রায় গাঙ্গুলী, জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, মোসাম্মৎ সামসুন্নাহার, শিউলি সরোয়ার, অমিয় অধিকারী, মোঃ আজগর বিশ্বাস তারা, মোঃ জামিল খান, সরদার আবুল কাশেম ডাবলু, নিশিত রঞ্জন মিস্ত্রি, হোসনে আরা চম্পা, মানিকুজ্জামান অশোক, শেখ আবু হানিফ, আজিজুর রহমান রাসেল, সাইফুল ইসলাম খান, পলাশি মজুমদার, মমতাজ শিরিন ময়না, দেব দুলাল বাড়ই বাপ্পি, আসাদুজ্জামান কচি, কাজি আজাদুর রহমান, সরদার জাকির, অজিত বিশ্বাস, এ বি এম কামরুল ইসলাম, পারভেজ হাওলাদার, মোঃ ইমরান হোসেন, মিজানুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, রেহেনা আফরোজা শোভা, সাবিনা ইয়াসমিন, ভগবতী, সোনিয়া খাতুন, আন্জুয়ারা সুমি, ফারহানা আফরোজ মনা, শিউলি বিশ্বাস, জয়নব, নয়ন, শামসুন্নাহার, হাসনা হেনা, তানমিনা, পাখি বেগম, ইঞ্জিঃ মাহফুজুর রহমান সোহাগ, বিধান রায়, দ্বীপ পান্ডে, মঈনুল ইসলাম, মারুফ হুসাইন, নাসির হোসেন, তানভির রহমান আকাশ, মৃনাল কান্তি বাছাড়, চিশতি নাজমুল বাশার, বাধন হালদার, শেখ মোঃ রাসেল, ওলিয়র রহমান সানি, তানভীর প্রধান, খায়রুল, পলাশ, হিরন, নাহিদুল ইসলাম, রেজওয়ান ইমন, ইয়াসিন খান, তুলি, রুনা প্রমূখ।
সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, “৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আর একবার বলে তারা স্পষ্ট বুঝিয়েছে তারাই বঙ্গবন্ধুর হত্যার ষড়যন্ত্রকারী। তাদের ভুলে গেলে চলবে না বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৭১ এর হাতিয়ার গর্জে উঠেই দেশ স্বাধীন হয়েছিলো। স্বাধীন দেশে আবারও প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি যারা দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল গণতান্ত্রিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তিকে কঠোর হ¯েত প্রতিহত করা হবে।