UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লকডাউনে নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে

usharalodesk
এপ্রিল ১৫, ২০২১ ৯:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : রমজান মাসের শুরুতেই দেয়া এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনে বিপাকে পড়েছেন দেশের নিম্নআয়ের মানুষ। চিন্তার ভাঁজ খেটে খাওয়া দিনমজুরদের কপালে। তাদের চোখে-মুখে একটাই প্রশ্ন, কিভাবে হবে সম্ভাব্য খাবার সংকটের সমাধান? জীবন বাঁচাতে সরকারের সহযোগিতার দিকেই চেয়ে আছেন শ্রমজীবী মানুষরা।
লকডাউনে থমকে গেছে রাজধানী, থেমে গেছে মোহাম্মদপুরের মুরগি বিক্রেতা ফজলু মিয়ার জীবনটাও। দুপুর হতে না হতেই আগে যেখানে বিক্রি করে ফেলতেন ২০ থেকে ২৫টি মুরগি সেখানে বেচা হয়নি একটিও।
সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনে ফজুল মিয়ার মতই আবারও দিশেহারা ঢাকার বিভিন্ন পেশার খেটে খাওয়া মানুষ। কারো-কারো দৈনিক চারশ’ থেকে পাঁচশ’ টাকা আয় নেমে এসেছে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
গতবছরের লকডাউনের অভিজ্ঞতা এসব খেটে খাওয়া মানুষের কাছে সুখকর ছিলনা। এবার টিকে থাকতে কিছুটা হলেও সরকারি সহায়তার প্রত্যাশায় তারা।
তিন বছর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কাজের খোঁজে ঢাকায় আসেন রতন মিয়া। এক বছর ঠিকঠাক কাজ চললেও গত বছরের লকডাউন থেকে কাজে ভাটা পড়ে তার। এবার লকডাউনে আরও বিপাকে পড়েছেন তিনি। জানালেন, কোনো কাজ পাচ্ছেন না। আয় করে বাড়িতে টাকা পাঠাতে না পারলে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে না খেয়ে থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কাকরাইল থেকে তিনি বলেন, ‘লকডাউনের কারণে কোনো কাজ পাচ্ছি না। পরিবারের তিন বেলা খাবার যোগাড় করা এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
লালমনিরহাট জেলা থেকে ঢাকায় কাজে এসেছেন সুজন আলী। দিনমজুরি করেন। তিনি জানালেন, ‘লকডাউনের মধ্যেও পেটের দায়ে রাস্তায়-রাস্তায় ঘুরে বেরাচ্ছি। তবুও কাজ পাচ্ছি না। কাজ না করলে খাব কী?’
রাজধানীর মতিঝিল থেকে রিকশাচালক শরীফ হোসেন বলেন, ‘করোনার কারণে রাস্তায় লোকজন কম। পেট তো আর লকডাউন বোঝে না। সকালে রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। একজন যাত্রী পেয়েছি এখন পর্যন্ত। পুলিশ রিকশা আটকে দিলো। চাকার হাওয়া ছেড়ে রিকশা উল্টে করে রেখেছে। এমন হলে আমরা চলবো কীভাবে।’
সুজন আলী, শরীফ হোসেনের মতো আরও অনেক নিম্ম আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন এই লকডাউনে। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় দিন চলছে। এই লকডাউনের মেধ্যেই পেটের তাগিদে কাজের সন্ধানে বেরিয়েছেন নিন্ম আয়ের মানুষ। তাদের একটাই লক্ষ্য, কাজ করে টাকা উপার্জন করে পরিবারের সদস্যদের মুখে কিছু খাবার জোটানো।

(ঊষার আলো-এমএনএস)