UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আর্থসামাজিক নিরাপত্তায় গণমুখী একটি সুষম বাজেট : আ’লীগ নেতৃবৃন্দ

koushikkln
জুন ১০, ২০২২ ১১:০৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষারআলো রিপোর্ট: ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেটকে আর্থসামাজিক নিরাপত্তায় গণমুখী একটি সুষম বাজেট বলেছেন খুলনার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। বাজেট বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বৈশ্মিক মহামারী করোনা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পেশকৃত বাজেট একটি চ্যালেঞ্জ ও সৎ সাহসিকতারই পরিচয় বহন করে। এ চ্যালেঞ্জিং বাজেট পেশ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, খুলনা জিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জিলা পরিষদ প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা জিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী। শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশ ও জাতির মৌলিক চাহিদা মেটাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি আর্থসামাজিক গণমুখী বাজেট পেশ করেছেন। ২০৪১ ও ২০৩১ এর ভিশনকে টার্গেট করে বাজেটে মানুষের জীবনমান বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। মানুষের মর্যাদা যত বৃদ্ধি হবে ততই অর্থনৈতিক সফলতা বৃদ্ধি হবে। মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে শিক্ষাকে সর্বাধিক মূল্যায়ন করা হয়েছে। শিক্ষিত জাতি গঠিত হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই অর্থনৈতিক মুক্তি চলে আসবে। এই শিক্ষিত জাতিকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে শিল্প ও কৃষি খাতে। দেশ শিল্পায়িত হলে শিক্ষিত, দক্ষ বেকার যুবক-যুবতিদের ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে। দেশ হবে আত্মমর্যাদাশীল। দুর হবে দারিদ্রতা। সে জন্যেই দারিদ্র দুরীকরনে বাজেটে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। দারিদ্রতা দুরীকরনে প্রস্তাব রাখা হয়েছে সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা। ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী বাংলাদেশী নাগরিকরা পাবে এ পেনশন সুবিধা। প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্যও থাকছে একই সুযোগ। ২০০৮ সালের দীয় নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তাকাঠামোর আওতায় আনতে জাতীয়ভাবে একটি সার্বজনীন পেনশন পদ্ধতি চালু করতে এ বাজেট পেশ করা হয়েছে। গড় আয়ু বেড়ে যাওয়ায় বয়স্ক বৃদ্ধদের সংখ্যা বাড়ছে। তাদের সামাজিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দিতে বাজেটে ষাটোর্ধ্ব বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে এই পেনশনের আওতায় রাখা হয়েছে। এছাড়া বেকারদের জন্য চালু করা হচ্ছে চার ধরনের বিমা ব্যবস্থা। দেশ ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখানে ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থার প্রস্তাবনা রাখা হয়েছে। এই ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থা চালু হলে মানুষের অনেক সামাজিক নিরাপত্তা রক্ষা হবে বলে নেতৃবৃন্দ মনে করেন। সব মিলিয়ে এ বাজেট গণমুখী একটি সুষম বাজেট। এই বাজেট বাস্তবায়িত হলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। নেতৃবৃন্দ খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আসুন, আগামী প্রজন্মের জন্য একটি মর্যাদাশীল উন্নত দেশ উপহার দিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারকে বাজেট বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করি।