ঊষার আলো ডেস্ক : ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-এর (আইডিইবি) সংবিধান ও কাউন্সিল সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করে খুলনা জেলা নির্বাচন সম্পন্ন করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামসুর রহমান স্বাক্ষরিত গত ২২ জুন প্রেরিত এক পত্রে এ তাগিদ দেয়া হয়।
আইডিইবি খুলনা শাখার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির (২০২৩-২৫ টার্ম) প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোঃ হাবিবুর রহমান গাজীর নিকট প্রেরিত পত্রে বলা হয়, আইডিইবির সংবিধানের অনুচ্ছেদের ১১.০৫.০১-এ উল্লেখ রয়েছে-সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত ভোটার তালিকা ইনস্টিটিউশনের সকল পর্যায়ের নির্বাচন চূড়ান্ত ও বৈধ তালিকা হিসেবে বিবেচিত হবে। সে অনুযায়ী আইডিইবির ৪২তম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে কেনিক-জেনিক ও ইউনিক নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সংবিধানে বর্নিত অনুচ্ছেদ যথাযথভাবে অনুসরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
পত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, আইডিইবি খুলনা জেলা শাখা কর্তৃক ২০২৩-২৫ টার্মের নির্বাচনের জন্য ১১০৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি ভোটার তালিকা জেনিকের অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, একজন সদস্যের কোন তথ্য উল্লেখ নেই, ৪২জন সদস্যের আইডিইবি সদস্য নাম্বার সঠিক নেই, ৬৫৫জন সদস্যের ছবি সংযুক্ত করা হয়নি, ২ জন একই নাম ও সদস্য নাম্বারে এন্ট্রি করা হয়েছে এবং রশিদসহ কেন্দ্রীয় অংশের অর্থ কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়নি। এমতাবস্থায় সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় জেনিক কর্তৃক চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুমোদন ব্যতিত খুলনা জেলা নির্বাহী কমিটির ২০২৩-২৫ টার্ম নির্বাচন এবং কোন জেনিক নির্বাচন আয়োজনের সুযোগ নেই।
ইনস্টিটিউন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) এর ২০১৯-২১ টার্মের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনের দু’ মাস পূর্বে জেলার ভোটার তালিকা, চাঁদা আদায়ের রশিদ, চাঁদার কেন্দ্রীয় অংশ ও ভোটারদের ছবি কেন্দ্রে পাঠানো এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত ভোটার তালিকা প্রকাশ করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। এছাড়া গঠনতন্ত্রের ১১.০৫.০৫ ধারা মতে জেলা সভাপতির সদস্য বয়স ১৫ বছর, সহ-সভাপতি ও সাঃ সম্পাদকের সদস্য বয়স ১০ বছর এবং অন্যান্য সদস্য বয়স পাঁচ বছর হতে হবে। কিন্তু তা মানা হয়নি। তিনি অবিলম্বে গঠনতন্ত্রের সকল নিয়ম মেনে নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ১৯ সদস্য বিশিষ্ট সংগঠনের জেলা কমিটি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে তিনি অনুমোদন দেন।
জেলা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোঃ হাবিবুর রহমান গাজীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এখন ব্যস্ত আছেন, বাগেরহাট যাবেন। পরে যোগাযোগ কার হবে বলে জানান। পরে একাধিকবার তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।