ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি : লাইসেন্স ছাড়া কোনভাবেই ইন্টারনেট সেবা দেয়া যাবে না। যেসব প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স ছাড়া ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে বিটিআরসির অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত থাকলেও খানজাহান আলী থানাধীন শিরোমনিতে নেই কোন পদক্ষেপ। প্রশাসনের সামনে গড়ে উঠেছে অবৈধভাবে ইন্টারনেট ব্যবসার কন্ট্রোলরুম। স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতায় দিন দিন পাড়া মহল্লায় বেড়েই চলছে ইন্টারনেটের সংযোগ,কন্ট্রোলরুম, সাবকন্ট্রোলরুম। এতে সরকার হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব।
খোঁজ নিয়ে দেখাগেছে, খানজাহান আলী থানা এলাকায় বেশকয়েকটি ইন্টারনেট ব্যবসার সেন্টার রয়েছে। প্রতিটি গ্রামের পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় ইন্টারনেটের আইপিও সেন্টার খুলে অবৈধভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ফলে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।বিটিআরসি একটি কমিশনের মাধ্যমে পাড়া মহল্লায় অবৈধভাবে আইএসপি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার ও সাইবার ক্যাফে পরিচালনাকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি দফায় দফায অবৈধ ইন্টারনেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠাণকে সর্তক করে দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তারপরেও থেমে নেই অবৈধ ভাবে ইন্টারনেট ও ডিস ব্যবসা।টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া ইন্টারনেট সংক্রান্ত কোন ধরণের ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে না।
বিটিআরসি সূত্রমতে, অবৈধভাবে পরিচালিত ইন্টারনেট ব্যবসা দফায় দফায় সর্তক করার পরও বন্ধ হয়নি। লাইসেন্স ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। পাড়া মহল্লায় গজিয়ে ওঠা এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোন বৈধতা নেই। ইন্টারনেটের মতো একটি গুরুত্বপুর্ণ মাধ্যমকে তারা অপব্যবহার করছে। ২০০১ সালের বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধান অনুযায়ী সাইবার ক্যাফে পরিচালনা, ইন্টারনেট সেবা প্রদানসহ যে কোন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের জন্য কমিশন হতে লাইসেন্স গ্রহন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স ছাড়াই অথবা অন্যর লাইসেন্সের উপর ভর করে দেদাড়ছে ব্যবসা করে যাচ্ছে। টেলিযোগাযোগ আইনের ৩৫ ধারার বিধান অনুযায়ী লাইসেন্স ব্যতীত টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ সেবা প্রদান করা একটি অপরাধ। এই জন্য আইনে অনধিক ১০ বছর কারাদন্ড বা অনধিক ৩শ কোটি টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দ-ে দ-নীয় করার বিধান রয়েছে। অনুমোদন ছাড়াই ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ নিয়ে অবৈধভাবে ইন্টারনেটের ব্যবসা করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। ফলে অল্প পুজিতে অধিক মুনাফার এই ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসা ছড়িয়ে পড়ায় সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানান যায়,থানা এলাকাতে প্রায় ৫ /৬ টি ইন্টারনেট ও ডিস ব্যবসার কন্ট্রোল রুম থাকলেও বিটিআরসি অনুমোদিত লাইসেন্স রয়েছে ২ থেকে ৩ টির । এছাড়া বাকিগুলোর কোন রকমের লাইসেন্স নেই। শিরোমনি হারুন প্লাজাতে ব্রডব্যান্ড নামক একটি প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেট ব্যবসা করে যাচ্ছে।
সূত্রে আরোও জানান যায়, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ইন্টারনেট ব্যবসা পরিচালন করছে। শিরোমনি দক্ষিণপাড়ার মোঃ আলমাছ বলেন শিরোমণিতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস সরকারি লাইসেন্স ছাড়া বিভিন্ন ইলেকট্রিক হাইভোল্টেজ পোলের সাথে অগোছালো ইন্টারনেট তার পেঁচিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, এতেকরে যখন তখন ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লাইসেন্সধারী একজন ইন্টারনেট ব্যবসায়ী জানান, আমরা বিটিআরসি থেকে বৈধভাবে লাইসেন্স নিয়ে কন্ট্রোলরুম স্থাপনের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে ইনকাম ট্যাক্সসহ বিভিন্ন ফি এবং ট্যাক্স প্রদান করে ব্যবসা করতে হিমশিম খাচ্ছি অথচ অন্যরা কোন ট্যাক্স ভ্যাট না দিয়ে লাইসেন্স না নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে লিয়াজু করে দেদারছে ব্যবসা করে যাচ্ছে। এতে আমরা লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তাই আমাদের দাবি বিটিআরসি অবৈধ কন্ট্রোলরুমগুলো বন্ধ করে সকলকে লাইসেন্সের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহন করে।থানা এলাকার অবৈধ ইন্টারনেট ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তার নিজের কোন লাইসেন্স নেই। অন্য একজনের লাইসেন্স ব্যবহার করে ব্যবসা করছে। অন্যর মাধ্যমে সাব স্টেশন স্থাপন করে ব্যবসা করছে।
ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন বলেন, উপজেলাতে কার কার লাইসেন্স আছে আর কার কার লাইসেন্স নেই তাদের তালিকা দেন। আমরা প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।