UsharAlo logo
রবিবার, ২৯শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় কৌশলী মাদক কারবার !

koushikkln
জুলাই ২০, ২০২২ ১০:৪১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : মাদকের বিরুদ্ধে নগর জুড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মধ্যে থেমে নেই কৌশলী মাদক কারবার।
সংশ্লিষ্টনা বলেছেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী শহর জুড়ে অভিযান চালিয়ে ছোট খাটো মাদক বিক্রেতা বা সেবনকারীকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করলে, কয়েকদিন যেতে না যেতে আদালত হতে মুক্তি পেয়ে ফের পূর্বের আশ্রয়-প্রশয়দাতাদের দ্বারা সক্রিয় হয়ে লিপ্ত হচ্ছেন মাদক বেচাবেচায়। প্রকৃতপক্ষে, আইনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকা প্রকৃত মাদক যোগানদাতাদের হাতবদলে মাদক কেনাবেচা রমরমা ভাবে চলছে।

সম্প্রতি নগরীর ডাকবাংলা, শিববাড়ী, সোনাডাঙ্গা, গল্লামারী, নিরালা, রূপসা নতুন বাজার, বাস্তহারা কোলনী, বয়রা, বৈকালী , জোড়াগেট সিএনবি কোলনী, খালিশপুর, দৌলতপুর, রেলিগেট, মানিকতলা, ফুলবাড়ীগেট, শিরোমনি, আটরা গিলাতলাসহ নগরীর বাইরের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাড়া- মহল্লায়, গ্রামঞ্চলের অলিগতিতে সু-কৌশলে পূর্ব পরিকল্পিত পরিকল্পনা মাফিক সাপ্লাই হচ্ছে মাদক দ্রব্যাদি। যার তালিকায় রয়েছে গাজা, ইয়াবা, ফেন্সিডিলসহ মদও।

বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা তাদের এলাকায় কখনো দুপুরে, কখনো সন্ধ্যার পর আবার কখনো গভীর রাতেও ১/২ অচেনা মানুষকে মোটরসাইকেল নিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখে। হঠাৎ করে আসে আর ছুটহাট করে চলে যায়।

তাদের ভাষ্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ এলাকা ভিত্তিক মাদক স¤্রাটেরা ব্যবসার ধরণ পাল্টে ফেলেছে। সু-কৌশলে চলছে হাতবদলে মাদক দ্রব্য বেচাকেনা। মাদকের হাতবদলে তারা কাজে লাগাচ্ছে হচ্ছে উঠতি বয়সি যুবকদের। যাদের দেখে প্রশাসনের সন্দেহ হওয়ার কথা নয়। মাদকে আসক্তির কারনে ক্রঃমশই সমাজে বেড়ে উঠছে নানা প্রকার সামাজিক অপরাধ। যার মধ্যে রয়েছে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, খুন, জখম, ধর্ষণসহ বহুল সামাজিক অপরাধ।

সমাজের সুধী ব্যক্তিবর্গের মতামত, মাদকের নেশায় কারনে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে বহুশত পরিবার। মাদক ব্যবসায়ীদের বির”দ্ধে একাধীক মামলা হলেও থামছেনা মাদকের রমরমা ব্যবসা। মাদক মামলায় আটকৃত আসামী কয়েকদিন ঘুরতে না ঘুরতেই আদালতে হতে জামিনে মুক্তি পেয়ে যান, যার দর”ন ওই সমস্ত তারা পুর্নরায় যুক্ত হয়। প্রসংগত যুবক সমাজসহ বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষেরা বিভিন্ন প্রকার মাদকের সাথে লিপ্ত হওয়ায় পৌচ্ছে অবক্ষয়ের দ্বার প্রান্তে। এহেন মরণ নেশা মাদকে আসক্ত হওয়া যুবক সহ সর্বমহলের অভিভাবকগন সামাজিক হেনস্তাসহ চরম হতাশা আর শঙ্কায় দিন পার করছেন। প্রশ্ন উঠেছে এ সকল মাদক বিক্রেতাদের খুঁটির জোর কোথায়? কোন নৈপথ্যের অদৃশ্য ছায়ায় চলছে এই রমরমা ব্যবসা?

অভিভাবক মোড়ল মিজানুর রহমান, মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি। প্রতিদিনই নতুন নতুন যুবকসহ বিভিন্ন পেশাজীবির মানুষ মাদকের সেবায় আসক্ত হচ্ছে। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অভিনব পন্থায় সাপ্লাই দিচ্ছে মাদক । মাদক র্নিমূলে এলাকাবাসীর উচিত এলাকা, পাড়-মহল্লায় প্রকৃত মাদক কারবারের সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত বলে আমি মনে করি।

অভিভাবক আনিছুর রহমান জানান, বাইরে প্রচুর মাদকের ছড়াছড়ি। হাতের নাগালেই ইচ্ছা করলে পাওয়া যাবে মাদক দ্রবাদি। ছেলেরা স্কুলে পরে সারাক্ষন ভীতি থাকি, না জানি সঙ্গ দোষের কারনে মরণনেশা মাদকে যেন যুক্ত না হয়। তাই সব সময় তাদেরকে নজরদারীতে রাখি। পাশাপাশি সকল অভিভাবকেরই উচিত তার সন্তান কখন, কোথায় কার সঙ্গে মেলামেশা করা সেদিকে খেয়াল রাখা।

দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকারের মাদক বিরোধী জিরো ট্রলারেন্স বাস্তবায়নে পুলিশ অত্যন্ত তৎপর। মাদক ব্যবসায়ী যে কেউ হোক না কেউ, মাদকের ব্যাপারে কোন আপোষ নেই। মাদকের সাথে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ও মাদক নির্মূলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এলাকাকে করা হবে মাদক শূন্য।