ঊষার আলো প্রতিবেদক : বছরের পর বছর ঝুলে আছে মাদক মামলা। সরকারি স্বাক্ষীর অভাবে মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ঘরে খুলনার বিভিন্ন আদালতে ১১ হাজার ৫শ ১১টি মামলার বিচারাধিন রয়েছে। ২০০০ সালের আগের সকল মামলা আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি নির্দেশনা দিয়েছেন।
মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর বলেছে, জেলা ও দায়রা জজ, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও বিভিন্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উল্লিখিত পরিমাণ মামলা বিচারাধিন রয়েছে। তার মধ্যে জেলা জজ আদালতে প্রায় ১১শ, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৫ হাজার, মহানগর দায়রা জজ আদালতে ১ হাজার ৮শ ২৭টি, ও অন্যান্য ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাকি মামলা বিচারাধিন। এবছর মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত ১শ ৬২টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।
সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু এ সভায় বলেন, সাতক্ষীরা থেকে মাদক অনুপ্রবেশ বন্ধে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। এখানে তল্লাশি বাড়াতে হবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সভায় উল্লেখ করেন, মাদক মামলায় স্বাক্ষীদের উপস্থিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও প্রচারণা কমিটির গত ১৩ জুলাইয়ের সভায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান উল্লেখ করেন, মাদক নিমূর্ল করার জন্য সকল ধরনের তৎপরতা চলছে। তিনি বলেন, পুলিশ স্বাক্ষীদের হাজির করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, এ অঞ্চলে উদ্ধারকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে গাজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল, এ্যলকহল, কোডিন মিশ্রিত ফেনসিডিল, টাপেনটাডন ট্যাবলেট ইত্যাদি।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেছেন, সরকারি স্বাক্ষীদের অনুপস্থিতির কারণে মামলা নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হচ্ছে। এব্যাপারে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।