আরিফুর রহমান, বাগেরহাট : বাণিজ্য বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের মোংলা বন্দর ব্যবহার বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। আর এ চুক্তি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়নে ৪টি ট্রায়াল রানের প্রথমটি শুরু করেছে ভারতের কলকাতা বন্দর। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম ট্রায়াল জাহাজ বাংলাদেশি পতাকাবাহী এম.ভি রিশাদ রাইহান, জ্যাক শিপিং এজেন্টের মাধ্যমে সোমবার ভোরে মোংলা বন্দরের ৯ নং জেটিতে এসে পৌঁছেছে। সিএন্ডএফ হিসাবে সুইফট লজিস্টিক সার্ভিসেস লিঃ কাজ করছেন।
মোংলা-তামাবিল এবং মোংলা-বিবিরবাজার (কুমিল্লার স্থলবন্দর) রুটে ট্রায়ালের জন্য ট্রানজিট কার্গোটি বর্তমানে মোংলা বন্দরে অবস্থান করেছে। চু্ধসিঢ়;ক্তর আওতায় বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি রপ্তানির ট্রায়াল কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ সচিব মোঃ মাকরুজ্জামান সোমবার দুপুরে দেয়া এক মেইল বার্তায় জানান, মার্কস লাইনের ২ টি কন্টেইনারের মধ্যে ১টি কন্টেইনারে ইলেক্ট্রোস্টিল কাস্টিংস লিমিটেডের ৭০ প্যাকেজে ১৬.৩৮০ টন লোহার পাইপ এবং বিবির বাজার-শ্রীমন্তপুর সীমান্ত পয়েন্ট ব্যবহার করে আসামের জন্য ও আরেকটি কনটেইনারে ২৪৯ প্যাকেজে ৮.৫ টন প্রিফোম নিয়ে জাহাজটি মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়।
এ সময় মোংলা বন্দর জেটি পরিদর্শন করেন, ভারতের সহকারী হাইকমিশনার ইনডার জিত সাগর, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসাসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ। জেটি পরিদর্শন শেষে মোংলা বন্দর সভা কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভারত-বাংলাদেশ প্রোটোকল রুটে অভ্যন্তরীণ জলপথ ব্যবহার করে ব্যবসায়িক গতি বাড়ানোর লক্ষ নিয়ে এক আলোচনা হয়।
এ কার্যক্রমের মাধ্যমে দু দেশের অর্থনীতি এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ মনে করেন। ভারত থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য মোংলা বন্দর ব্যবহার সংক্রান্ত একটি চুক্তি এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি ২ দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এ বিষয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, গত মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত ১৩তম ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট গ্রুপ অফ কাস্টমস (জেএসসি) বৈঠকের পর ট্রায়াল রান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তারই ট্রায়াল জাহাজের প্রথম ট্রায়াল জাহাজ মোংলা বন্দরে। মোংলা বন্দরের মাধ্যমে ভারতের সাথে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে আজ একটি মাইলফলক সৃষ্টি হলো। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশের সাথে বন্ধুত্ব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে হলে আমি মনে করি।
(ঊষার আলো-এফএসপি)