ঊষার আলো প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম বাড়াতে সাংগঠনিক সম্পাদকদের রোববারের বৈঠকে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রোড ম্যাপ দিয়েছেন। রোড ম্যাপের আলোকে প্রাথমিক সদস্য বাড়ানো, দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোকে অবিলম্বে সম্মেলন সম্পন্ন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। রোডম্যাপ পাওয়ার পর শাসক দল খুলনায় বিরোধীদের রাজনৈতিক মোকাবেলার উদ্যোগ নিয়েছে।
জুলাই মাসে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। হামলা, মামলার মধ্য দিয়ে খুলনার রাজনীতি উত্তপ্ত হয়। উপজেলা পর্যায়ে প্রতিহিংসা ছড়িয়ে পড়ে। তবে রাজনৈতিক সহিংসতা ঘটেনি। তবুও কয়েকটি দিবস পালন ছাড়া শাসক দলের কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনের মধ্যে দিয়ে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম বাড়ানোর পরিকল্পনা সর্বস্তরে চলছে। শোকের মাস আগস্ট শেষে বিরোধীদের আগামী মাস থেকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে। তবে অরাজনৈতিক বা নেতিবাচক কোন কর্মসূচি শাসক দলের পক্ষ থেকে দেয়া হবে না। নাশকতা, অগ্নিকান্ড ও ভাঙচুরের মত ঘটনা ঘটলে প্রতিবাদের মাধ্যমে তার জবাব দেয়া হবে।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা এ প্রতিবেদককে জানান, এ মাসেই নগরের নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় প্রাথমিক সদস্যপদ দান, অভ্যন্তরিন কোন্দল নিরসনসহ বিরোধী শিবিরের মোকাবেলার জন্য কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে। তবে স্পষ্টতঃ কর্মীদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে অহেতুকভাবে বিরোধীদের হয়রানী করা যাবে না। তারা নেতিবাচক কোন কর্মসূচি নিলে রাজনৈতিকভাবে তা প্রতিহত করা হবে। একইসাথে ৫টি থানা কমিটিকে শক্তিশালী করতে পরামর্শ দেয়া হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্র কমিটি গঠনের জন্য এখন থেকেই তৎপর হতে হবে। এ নির্দেশনা কমীদের আগেই দেয়া আছে। সরকারের জনকল্যাণমূলক কর্মকান্ড বিশেষ করে পদ্মা সেতু নির্মানের সুফল জনগণের মধ্যে পৌঁছে দিয়ে জনমত সৃষ্টি করতে হবে। এখন থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।
ঊ/আলো-এম আর