ঊষার আলো প্রতিবেদক : খুলনার খালিশপুর জুট ওয়ার্কার্স ইনস্টিটিউটের মডেল শপিং কমপ্লেক্সের ২৭টি দোকান গত পাঁচ ধরে পাটকল শ্রমিক নেতাদের নেতৃত্বে জোরপূর্বক বন্ধ করে দেয়া হয় বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন। এতে করে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। অবশেষে উচ্চ আদালতের শরনাপন্ন হলে আদালত দোকানগুলো আগামী এক মাসের মধ্যে দোকানগুলো খুলে দেয়ার জন্য খুলনার জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ৭ আগস্ট বিচারপতি কে এম কামরুল কাদির ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী বেঞ্চ রিট পিটিশনের শুনানী শেষে এ আদেশ দেন। রিট পিটিশনে ৬ জনকে বিবাদী করা হয়। এর মধ্যে ২নং বিবাদী হলেন জেলা প্রশাসক। তাকেই আদালত বাদীগণের দোকানগুলো যারা অবৈধভাবে জোরপূর্বক বে আইনীভাবে মূল ফটকে তালা লাগাইছে। তা খুলে দিয়ে বাদীগণের নিকট শান্তিপূর্ণভাবে বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের মধ্যে সোহেল মাহমুদ পলাশ হাই কোর্টে এই রীট পিটিশন দাখিল করেন। যার নং-৮৯৫৯/২২। গত ১ আগস্ট তিনি রিট পিটিশন দাখিল করেন বলে জানান বাদীর আইনজীবী এড. গাজী মুসতাক আহমেদ। তিনি বলেন, আদালতের আদেশ রিসিভ করার পর এক মাসের মধ্যে দোকানগুলো খুলে দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম পলাশ জানান, গত ২০ এপ্রিল দিবাগত রাত ২টার দিকে শ্রমিক নেতা মুরাদ হোসেন ও হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে একদল শ্রমিক নেতা তাদের মডেল শপিং কমপ্লেক্সের গেট তালা দিয়ে দেয়। এমন কি তালা যাতে না খুলতে পারে এ জন্য সিলগালা করা হয়। অনেক দপ্তরে এ ব্যাপারে ছুটাছুটি করলেও তালা খোলার কোন ব্যবস্থা হয়নি। এতে করে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অপর ব্যবসায়ী ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম সজল বলেন, নগরীর খালিশপুর জুট ওয়ার্কার্স ইনস্টিটিউটের মডেল শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী তারা। এ কমপ্লেক্সে বিভিন্ন ধরণের ২৭টি দোকান রয়েছে তাদের। দীর্ঘ দিন ধরে তারা দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছে। বিজেএমসি সব জুট মিল বন্ধ করে দেয়। এরপর পাটকল শ্রমিক সংগঠন দ্বারা পরিচালিত খালিশপুর জুট ওয়ার্কার্স ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় কতিপয় ব্যক্তি এসে দোকান ঘরের জামানত ও ভাড়া অতিরিক্ত দাবি করে এবং বিরক্ত করতে থাকে। এতে বাধ্য হয়ে তারা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেন। এমন কি মাকের্টের জমির মালিকানা নিয়ে সমস্যা থাকায় তারা দোকান ঘরের ভাড়া আদালতে জমা দিয়ে যাচ্ছেন। এরপর চক্রটি ক্ষুব্দ হয়ে মার্কেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।
এদিকে গত ১৬ আগস্ট ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার শরিফুল ইসলাম জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করেছেন। ওই আবেদনের সাথে তিনি উচ্চ আদালতে রিট পিটিশনের ওপর আদালতের আদেশের কটি সংযুক্ত করেছেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, তারা মার্কেটের ৪৮জন দোকানদার বৈধভাবে সরকারের নিকট থেকে বরাদ্দ পেতে চায়। ইতোমধ্যে তারা জেলা প্রশাসকের নিটক দোকান ঘরের প্রতিমাসের ভাড়া জমা দিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতা বজায়ে রাখতে চায় এসব ব্যবসায়ীরা।