ঊষার আলো প্রতিবেদক : বটিয়াঘাটা শৈলমারী এলাকায় পয়ষট্টি বছরের এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করেছে। আসামী দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছে।

অভিযুক্ত যুবক, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার – ঊষার আলো
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বটিয়াঘাটা উপজেলাধীন শৈলমারী প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন এলাকায় ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধাকে তার নিজ গৃহে ধর্ষণ করেছে একই এলাকার বখাটে যুবক দিদারুল গাজী ওরফে সুজন গাজী (২৮)। শুক্রবার (০২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে আসামী সুজন ভিকটিমের ঘরে প্রবেশ করে। এসময় তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও আহত করে। পরে ভিকটিমের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। এরআগে আসামী সুজন পালিয়ে যায়। ভিকটিমকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় ওই দিন রাতে ভিকটিমের পুত্র লিটন বৈরাগী বটিয়াঘাটা থানা একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামীকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে সে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। আসামী সুজন গাজী একই এলাকার খোকন গাজীর পুত্র।
বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ জালাল বলেন, আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে। ভিকটিম খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কৈয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সভাপতি সুজয় কান্তি মন্ডল জানান, আসামী সুজন এর আগেও একাধিকবার এধরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। এনিয়ে পূর্বেও আমরা বিচার শালিসি করেছি। ভ্রাম্যমান আদালতে তাকে জরিমানাও করা হয়েছিল।
অপরদিকে এঘটনায় শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে স্থানীয় এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কৈয়া বাজার এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নিত্যানন্দ বৈরাগীর সভাপতিত্বে ও কৈয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুজয় কান্তি মন্ডলের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল, ১নং জলমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিধান রায়, বটিয়াঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমন শেখ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ হরিণটানা থানা আহবায়ক অভিজিৎ রায় অভি, হরিণটানা থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মনোজ রায়, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন রায়, ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য গৌরাঙ্গ হালদার, ১নং ওয়ার্ড সদস্য দেবব্রত মল্লিক, ৭নং ওয়ার্ড সদস্য অশোক মন্ডল, ৯নং ওয়ার্ড সদস্য আলম হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা গোবিন্দ মল্লিক, রাজকুমার রায়, দিগন্ত মল্লিক, অমল মন্ডল, শ্রমিক লীগ নেতা পলাশ বিশ^াস।