ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি : নগরীতে ছাগল চুরির অপবাদ দিয়ে এক স্কুল ছাত্রকে মারধর করা হয়েছে। বুধবার (৩১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নগরীর আড়ংঘাটা থানাধীন তেলিগাতী পশ্চিমপাড়া ক্লাব মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।তবে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে। তখন বিষয়টি সাংবাদিকরা জানতে পেরেছেন।১৮ বছর বয়সী মারধরের শিকার মো. রাসেল একই থানা এলাকার খানাবাড়ী এলাকার মিল্টন সানার ছেলে। তিনি খান জাহান আলী টেকনিক্যাল বিএম কলেজের দশম শ্রেনীর ছাত্র।
ছাত্রের বাবা মিল্টন সানা বলেন, ‘আমার ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র। বুধবার সকালে স্কুলে গিয়েছিল এসএসসি পরীক্ষার রুটিন আনতে। ফেরার পথে ক্লাব মোড়ে দেখত পাই তার বান্ধবীর স্বামী পারভেজকে কয়েকজন ছাগলচুরির অপবাদে মারধর করছে। তখন আমার ছেলে তাদের প্রতিবাদ করে।’‘তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে তেলিগাতি এলাকার শাহিন, খোরশেদ ও রায়হানসহ অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জন মিলে আমার ছেলেকে দঁড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে তাকে প্রচুর পরিমানে মারধর করে। জিআই পাইপ, লোহার রড ও কাঠের বাতা দিয়ে আমার ছেলের গিটায় গিটায় পেটানো হয়েছে। যা কিছু লোক ভিডিও ধারণ করে রেখেছে।’ তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে তারা আমার ছেলের চোখ তুলে ফেলার জন্য বেøড, লোহার রড ও খেজুরের কাটা নিয়ে আসে। তখন দৌলতপুর থানার এক এসআই এসে আমার ছেলেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে পুলিশের মাধ্যমে আমরা ঘটনাটি জানতে পারি।’
‘যারা আমার ছেলেকে মারধর করেছে, তারা এখন আমাদেরও মেরে ফেলার হুমকী দিচ্ছে। আড়ংঘাটা থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে তারা অন্য এলাকার ঘটনা বা স্থানীয় ভাবে মিমাংশা করতে বলছে।’ মিন্টন সানা বলেন, ‘আমি খুলনা মহানগরীর ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাকে বেকায়দায় ফেলতে, ছেলেকে ছাগল চুরির অপবাদ দিয়েছে। এখন আমাকে প্রান নাশের হুমকী দিচ্ছে।’
এ ঘটনায় শুক্রবার (০২ সেপ্টেম্বর) সকালে আড়ংঘাটা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে ওই ছাত্রে মা লাজেদা বেগম। তবে পুলিশ বিষয়টি এখন মামলা হিসেবে গ্রহন করেনি।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, যে ছেলেকে মারধর করা হয়েছে, সে একজন পেশাদার চোর। এর আগে সরকারী মালামাল চুরির অপরাধে সে কারাগারে ছিল। জামিনে বের হয়ে এসে আবারও ছাগল চুরি করেছে। মারধরের বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। তবে ঘটনাটি আড়ংঘাটা নাকি দৌলতপুর থানা এলাকায় সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে।