ঊষার আলো প্রতিবেদক: কাঙ্খিত খুলনা জেলা পরিষদের নির্বাচনী ডামাডোল বেজে উঠেছে। বিশেষ করে শাসক দলের মধ্যে তৎপরতাটাই বেশি। ভোট হবে নয় উপজেলা সদরে। ভোটার ৯৭৮ জন।
জেলা নির্বাচন অফিসের সূত্র জানিয়েছেন ভোটারদের সুবিধার্থে কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া, ফুলতলা, দীঘলীয়া, তেরখাদা সদরে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা সিটি কর্পরেশন এর ভোটারদের সুবিধার জন্য কেন্দ্রে রুপসা না নগরীরতে হবে তা এখনও চুড়ান্ত হয়নি। আগামী ১৭ অক্টোবর খুলনা জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
খুলনা জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নের জন্য শাসক দলের পাঁচ জন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। দলের মনোনয়ন পেতে প্রার্থী ও তার সমর্থকরা ঢাকায় অবস্থান করছেন। চেয়ারম্যান পদে একজন দলের মনোনয়ন পেলেও আওয়ামী লীগ পরিবারের পক্ষে থেকে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন।
শাসকদলের মনোনয়নের জন্য জেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি, জেলাপরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, সহসভাপতি অধ্যাক্ষা দেলোয়ারা বেগম, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুজিত কুমার অধিকারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরফউদ্দীন বিশ্বাস বাচ্চু ও সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান দলের কাছে আবেদন জমা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলেই দলীয় মনোনয়ন চুড়ান্ত হবে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতার জন্য মাঠে নেমেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সুন্দরবন আদর্শ মহা বিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি এস এম মর্তুজা রশিদী দারা। তিনি বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থাার সহ-সভাপতি। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার কনিষ্ঠ ভাই। মূলতঃ তার বিচরন ক্রীড়াঙ্গণে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানানা, বাঙালি জাতীয়তাবাদের দর্শণে বিশ্বাসী হলেও শাসকদলের রাজনীতিতে সক্রিয় নন। দলের কোন স্তরে সম্পৃক্ত নন। সে কারণে তিনি দলীয় মনোনয়ন চাননি। বলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। দলের অনেকেই নেপথ্যে থেকে তাকে সমর্থন দেবে বলে তিনি আশাবাদী। বিভিন্ন ইউনিয়নে দলের মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা তাকে সমর্থন জানা বলে তার বিশ্বাস। প্রয়াত নেতা মোস্তফা রশিদী সুজার সমর্থকরাও তাকে সমর্থন জানাবে বলে তিনি আশাবাদী।