UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কপিলমুনির তালতলা সেতু ভেঙ্গে খালে, ৬ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি

koushikkln
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২ ১০:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পলাশ কর্মকার,  কপিলমুনি : নির্মানের মাত্র ২৩ বছর পর ধ্বসে পড়েছে খালের উপর নির্মিত সেতু ১টি সেতু। সেতুটি মাত্র ১টি পিকআপের ভার নিতে পারেনি। সম্প্রতি সেতুর উপর পোনাবাহী পিকআপটি উঠলেই হুড়-মুড়িয়ে মাঝ বরাবর ভেঙ্গে খালের গর্ভে নিমর্জ্জিত সেতুটি। ফলে ওই এলাকার শিক্ষার্থীসহ ৬ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি এখন নিত্য সংগী হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, খুলনার কপিলমুনির নাছিরপুর খালের উপর নির্মিত তালতলা সেতু। বিস্তীর্ণ অঞ্চলের প্রায় ৩ কিমি দৈর্ঘ্যের নাছিরপুর খালের দু’পারে বসবাসকারী ৬ গ্রামের বাসিন্দার সার্বিক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম তালতলা সেতু। দু’পারের বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে সেতুটি ছিল একমাত্র ভরসা। খালের এপারে তালতলা, ওপারে গোয়ালবাথান-চিনিমলা, এপারে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক আর ওপারে ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত ১০ নং জি.টি.চিনিমলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এপারের বাসিন্দাদের চা খেতেও ওপারের দোকানগুলোতে যেতে হয়। এছাড়া লোনা পানি ও চিংড়ি অধ্যুষিত দ্বীপাঞ্চলের রোদে পোড়া বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকার বেসাতিতে উপ-শহর কপিলমুনি কিংবা উপজেলা সদর পাইকগাছা পৌছাতে ভর করতে হয় এই সেতুটিতে। দুরন্তপনায় ডানা মেলে থাকা শিশুরা এ-পারে দাঁড়িয়ে ও-পারের শিশুদের খেলা করা দেখছে। সকালে স্কুলে যেতেও পারাপারের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে পারাপারের জন্য মাধ্যমের। অনেকের আবার পৌছানো হয়নি প্রিয় বিদ্যাপীঠে। জানাযায়, স্বল্প ব্যয়ে গ্রামীণ সড়কে পূল/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে ৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের ফুট ব্রীজটি নির্মাণ করে। ঠিকাদার সৈয়দ মিনার হোসেন কার্যাদেশ পেয়ে ২০০০ সালের ১৫ মে এর নির্মাণ কাজ শেষ করেন। এদিকে ব্রীজটি নির্মাণের মাত্র ২৩ বছরে ভেঙ্গে পড়ায় এর নির্মাণ মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী খালের উপর পুনরায় সেতু নির্মাণে খুলনা-৬ এর সাংসদ মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু’র জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

চিনামলা গ্রামের বাসিন্দা উপাধ্যক্ষ ত্রিদিব কান্তি মন্ডল বলেন, সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের দুর্ভোগ পেহাতে হচ্ছে। তাদের বিকল্প পথ হিসেবে দেড় কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেটে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে।

কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কওছার আলী জোয়ারদার বলেন, খালের দু’পারে বসবাসকারী কয়েক গ্রামের বাসিন্দাদের যোগাযোগের মাধ্যম এই ফুট ব্রীজ। দু’পারের বসবাসকারী ও ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে ব্রীজটিই একমাত্র ভরসা। তাদের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে দুর্গা পূজার আগেই কাঠের পুল তৈরী করা হবে।

উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হাফিজুর রহমান খান বলেন, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে সমন্বয় করা হয়েছে। খুব দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম বলেন বিষয়টি শুনেছি ও জেনেছি সংশ্লিষ্টদের সাথে সমন্বয় করে ভেঙে যাওয়া সেতুর কাজ করার চেষ্টা করছি।