UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেয়ে আদুরীর জিম্মায় রহিমা বেগম

koushikkln
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২ ১০:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : খুলনায় রহস্যজনক নিখোঁজ রহিমা বেগম আদালতে জবানবন্দী শেষে মেয়ে আদুরি খাতুনের জিম্মায় গিয়েছেন। তিনি বর্তমানে আদুরির বয়রা বাসায় অবস্থান করছেন।  রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর বিচারক আল আমিনের কাছে জবানবন্দি দেওয়ার পর রহিমা বেগমকে হস্তান্তর করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আব্দুল মান্নান জানান, জবানবন্দি শেষে রহিমা বেগমকে চিফ মেট্রোপলিটন আদালত-৪-এর বিচারক সারোয়ার আহমেদ মামলার বাদী ও তার মেয়ে আদুরী খাতুনের জিম্মায় হস্তান্তর করেন।

রহিমার জবানবন্দি প্রসঙ্গে বাদীপক্ষের আইনজীবী আফরুজ্জামান টুটুল বলেন, ভিকটিম আদালতকে তার অপহরণের বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, জমিজমা নিয়ে যাদের সঙ্গে বিরোধ ছিল মূলত তারাই তাকে অপহরণ করে চট্টগ্রামে নিয়ে যান। সেখানে থেকে তিনি ফরিদপুরে আসেন। মামলায় যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে চার-পাঁচজন অপহরণের সঙ্গে জড়িত।
এর আগে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে শনিবার রাতে মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগমকে জীবিত উদ্ধার করে পুলিশ। গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারীর কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। কুদ্দুস একসময় খুলনার জুট মিলে চাকরি করতেন এবং রহিমা বেগমের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিলেন।

গত ২৭ আগস্ট রাত ১১টার দিকে মহেশ্বরপাশার খানাবাড়ী হতে নিখোঁজ হন ছয় সন্তানের জননী রহিমা বেগম। রহিমা বেগম সে রাতে তার মৃত প্রথম স্বামীর বাড়িতে দ্বিতীয় স্বামী বেলাল হাওলাদারকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন।

নিখোঁজ ঘটনার কয়েক ঘণ্টার পর তার ছেলে সাদি বাদী হয়ে দৌলতপুর থানার একটি জিডি করেন এবং পরদিন নিখোঁজ রহিমা বেগমের কনিষ্ঠ কন্যা আদুরী খাতুন অজ্ঞাতদের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলার এজাহারে জমিজমা নিয়ে বিরোধের কথা বলে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়।
নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের পক্ষ হতে, বিশেষ করে ঢাকা তেজগাঁও কলেজের ছাত্রী মরিয়ম মান্নান খুলনা ও ঢাকায় একাধিক সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধনসহ নানাবিধ কর্মসূচি পালন করেন, যা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রচারিত হয়।

এদিকে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে (রিমান্ড) নেয়। পরে পুলিশ রহিমা বেগমের দ্বিতীয় স্বামী বেলাল হাওলাদারকেও গ্রেপ্তার করে হোফাজতে আনে। প্রথম থেকেই মামলাটি দৌলতপুর থানা পুলিশ এবং র‌্যাব তদন্ত করছিল।
এই তদন্ত পছন্দ না হওয়ায় বাদীপক্ষের আবেদনে মামলার তদন্ত পিবিআই খুলনাকে দেওয়া হয়। পিবিআই আত্মগোপনকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করলে বাদী নাখোশ হন।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে মরিয়াম মান্নান তার মা রহিমা বেগমের লাশ পেয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন এবং ময়মনসিংহের ফুলপুরে অজ্ঞাতপরিচয় যুবতির লাশের ছবি দেখে সেটি তার মা বলে দাবি করেন। শুক্রবার ময়মনসিংহে গিয়ে পরিবারের পক্ষ হতে দাবি করা হয় ওই ৩২/৩৩ বছর বয়সের লাশটি তাদের মায়ের।