UsharAlo logo
রবিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কথিত অপহৃত রহিমা ও তাঁর সন্তানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে ক্ষতিগ্রস্তরা

koushikkln
সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২ ১২:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : খুলনা আলোচিত রহিমা বেগম নিখোঁজ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আর্থিক-সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তগুলো পরিবারগুলো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারী দিয়েছে।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, রহিমা বেগম, তাঁর মেয়ে মরিয়ম মান্নান, আদুরী আক্তারসহ গোটা পরিবার মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত। প্রতিবেশীদের শায়েস্তা করতে এই পরিবারটি পরিকল্পিতভাবে অপহরণ নাটক সাজিয়েছে। তারা অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও নির্দোষ ব্যক্তিদের মুক্তি দাবি জানান।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে মালিহা মহিউদ্দিন মাহি এসব দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রধান প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, নিখোঁজ গৃহবধূর দ্বিতীয় স্বামী হেলাল হাওলাদার, দৌলতপুর মহেশ্বরপশা বণিকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন, রফিকুল আলম পলাশ ও নুরুল আলম জুয়েল এবং প্রতিবেশী হেলাল শরীফের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ, রহিমা বেগম ও তাঁর সন্তানরা এলাকায় ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করেছে। একের পর মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিবেশীদের শায়েস্তা করছে। কয়েক বছর আগে শরিফুল ইসলাম নামে মাত্র ৮/৯ বছরের এক শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দিয়েছিল। মরিয়মের বাবার তিনটি বিয়ে, ভুক্তভোগী হেলাল শরীফ ও গোলাম কিবরিয়া তাদের প্রথম পক্ষের ছেলে মিজানুর রহমানের জমি কিনেছিলেন। কিন্তু সেটি কাল হয়েছে।

মালিহা মহিউদ্দিন মাহি বলেন, রহিমা বেগমের কাছে ব্যাগ, কাপড়চোপড়, ওষুধ, প্রশাধনী সামগ্রী উদ্ধার হয়। তিনি জন্ম নিবন্ধন পরিবর্তনের জন্য ফরিদপুরে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলেন। যা কোন ভাবে অপহৃত ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। তাছাড়া পুলিশ ও আদালতে দেওয়া বয়ানেও পার্থক্য রয়েছে। তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটিত হবে।