UsharAlo logo
শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সিঁদুর রাঙা কৃষ্ণচূড়ার আবিরে প্রকৃতি

usharalodesk
এপ্রিল ২১, ২০২১ ৯:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : কৃষ্ণচূড়া ফুলের লাল আভায় সিঁদুররাঙা হয়ে উঠেছে প্রকৃতি। তীব্র রোদের ঝলকানিতে কৃষ্ণচূড়া ফুল রূপের দ্যূতি ছড়াচ্ছে আরও বেশি। দিনভর সোনা রোদের আলো গায়ে মেখে চোখ ধাঁধানো কৃষ্ণচূড়ায় গ্রীষ্মের প্রকৃতি ও পরিবেশ যেন নতুন আবির মেখেছে।
কৃষ্ণচূড়ার রূপের আগুনে পুড়ছে প্রকৃতি প্রেমিকদের হৃদয়। এমন রূপের আগুনে আরও বেশি পুড়ে যেতে চায় ওই পোড়া হৃদয়গুলো।
শোভা বর্ধনকারী কৃষ্ণচূড়া ফুল গাছ দেশের গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি বর্তমানে বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার পথে প্রান্তরেও শোভা বর্ধন করছে। গ্রীষ্মের এ সময়টায় যখন কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে, তখন প্রকৃতি যেন তার রূপলাবণ্যে প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে। কৃষ্ণচূড়ার অপরূপ রূপে মোহিত হয়ে ওঠে ভাবুক মন।
কৃষ্ণচূড়া আমাদের দেশের গ্রীষ্মের অতি পরিচিত ফুল। দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের থানা মোড়, মেইল বাসস্ট্যান্ডসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামেও কৃষ্ণচূড়ার শাখায় শাখায় এখন লালে লাল হয়ে ফুটে আছে সিঁদুর রাঙা এ ফুল।
কৃষ্ণচূড়া গাছ সম্পর্কে জানা গেছে, কৃষ্ণচূড়ার আদি নিবাস পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাস্কারে। যার বৈজ্ঞানিক নাম Delonix Regia। আমাদের দেশে দুই ধরনের কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটতে দেখা যায়। একটি হল উজ্জ্বল লাল, অপরটি লাল হলদেটে। তবে আমাদের দেশে লাল কৃষ্ণচূড়া বেশি চোখে পড়ে। বর্তমানে লাল হলদেটে কৃষ্ণচূড়া বেশ বিরল। লাল হলদেটে কৃষ্ণচূড়াকে অনেকে রাধাচূড়া বলে থাকে। কৃষ্ণচূড়া গাছের উচ্চতা খুব বেশি হয় না। সর্বোচ্চ ১১-১২ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। তবে এর শাখা পল্লব অনেক দূর পর্যন্ত ছড়ানো থাকে।
দুপচাঁচিয়া জাহানারা কামরুজ্জামান কলেজের কৃষি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক দিনেশ চন্দ্র বসাক বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাংলাদেশে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত। কুঁড়ি আসার কিছু দিনের মধ্যে পুরো গাছ ভরে যায় ফুলে ফুলে। কৃষ্ণচূড়া ফুল সাত-আটটি পাপড়িযুক্ত গাঢ় লাল। ফুলের ভেতরের অংশ হালকা হলুদ ও রক্তিম হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, দুপচাঁচিয়া উপজেলার প্রায় সব এলাকাতেই কৃষ্ণচূড়া গাছের শাখায় শাখায় এখন রক্তাক্ত লাল হয়ে ফুটে আছে এ ফুল। শোভা বর্ধনকারী এ বৃক্ষটি দেশের গ্রামীণ জনপদের পাশাপাশি শহরের মানুষের কাছেও সমান গুরুত্ব বহন করে। এ গাছের কাঠ তুলনামূলক কম দামি এবং ভালো কাজে ব্যবহার না হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে এই গাছ রোপণে আগ্রহ অনেক কম। তবে শখের বেলায় এর কদর রয়েছে ঢের। বর্তমানে কমে যাচ্ছে কৃষ্ণচূড়া গাছ।

(ঊষার আলো-এমএনএস)