UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চঞ্চল ছিল বর্তমান ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের একজন অনুকরণীয় 

koushikkln
অক্টোবর ১৮, ২০২২ ১০:১৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : চঞ্চল একজন মেধাবী ছাত্র এবং একইসাথে সংগ্রামী দলের প্রতি শতভাগ কমিটেড সাহসী ছাত্রনেতা ছিল। বর্তমান ছাত্রদলের নেতাকর্মিদের জন্য সে একজন অনুকরণীয় ছাত্রনেতা। খুলনায় ছাত্রদলকে বিকশিত করতে এবং কলেজ ছাত্র সংসদগুলির নির্বাচনে ছাত্রদলের ঈর্ষণীয় সাফল্য লাভের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ কারিগর ছিল শহীদ ওয়াহিদুজ্জামান চঞ্চল। ছাত্রনেতা হিসেবে ‘৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং ‘৯৬ এর পর হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে একজন সাহসী সংগঠক হিসেবে চঞ্চলের ভূমিকা বর্তমানে চলমান ফ্যসিবাদ বিরোধী দু:শাসনবিরোধী এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তরুণ প্রজম্মের জন্য অনুসরণীয় হতে পারে।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় নগরীর কেডিএ এভিনিউ (তেঁতুল তলা মোড়) সোনাডাঙ্গা থানার বিএনপির কার্যালয়ে ছাত্রদলের সাবেক নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল খুলনা জেলা শাখার সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি শহীদ ওহিদুজ্জামান চঞ্চল এর ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতির মধ্যেকার এবং রাজনীতির বাইরে দুর্বৃত্তপনা ও মাস্তানতন্ত্রের বিরুদ্ধে চঞ্চল ছিল আমাদের একজন বিশ্বস্ত সহযোগী। আজকের রাজনীতির বাস্তবতায় দুর্নীতি, লুটপাট, দুর্বৃত্তায়নের বিস্তার এবং খারাপ লোকের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে আমাদের চলমান লড়াইয়ে চঞ্চল বেঁচে থাকলে সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারতো। অন্যান্য বক্তারা শহীদ ওয়াহিদুজ্জামান চঞ্চলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা একদল দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকদের অপতৎপরতার কারণেই অনুকূল সময় পেলেও চঞ্চল হত্যার বিচার প্রাপ্তি থেকে আমরা বঞ্চিত হয়েছি। কিছুদিন পূর্বে মৃত্যবরণকীরী শহীদ চঞ্চলের মাতা পুত্রহত্যার বিচার চেয়ে ২৪টি বছর অপেক্ষার আক্ষেপ নিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। যা আমাদের জন্য চরম বেদনার এবং লজ্জারও বটে। চিহ্নিত খুনীদের ইন্ধনদাতা ও পরোক্ষ সহায়তাকীরীরা নানাসময়ে দলের ত্যাগী নেতাকর্মিদের বঞ্চিত করে বিএনপি ও অঙ্গ/সহযোগী সংগঠনের পদে আসীন হয়ে রাজনীতিকে কলুষিত করেছেন বা করে চলেছেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মঞ্জু আরো বলেন, দেশে বর্তমানে ফ্যাসিবাদী চরম দু:শাসন চলছে, জনগণের ভোটের অধিকার হরণকারী এই লুটেরা সরকার দেশকে খুবলে খেয়ে ফেলেছে, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধিতে দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। বিদ্যুৎ সংকট সীমাহীন, দেশে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি এখন তলানিতে ঠেকেছে। গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যামামলায় কারাবন্দী রেখে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ বঞ্চিত করে তাঁকে তিলে তিলে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে। এসবের প্রতিবাদ করতে যেয়ে ভোলা, নারায়নগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জে আমাদের ভাইয়েরা সরকারের পেটোয়া পুলিশের গুলিতে জীবন দিয়েছে। আমাদের নেতা বাংলাদেশের আগামী ভবিষ্যত তারেক রহমানকে মিথ্যামামলায় সাজা দিয়ে তাঁর দেশে ফেরার পথ রুদ্ধ করে রেখেছে এই সরকার। তারেক রহমানের নেতৃত্বেই চলমান আন্দোলনে সারাদেশের মানুষ গর্জে উঠেছে, ইনশাআল্লাহ গণতন্ত্র অচিরেই মুক্তি পাবে, দেশ দু:শাসন মুক্ত হবেই হবে। সেই আন্দোলনে ইস্পাতকঠিন ঐক্যের মাধ্যমে চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে তিনি নেতাকর্মিসহ সাধারণ মানুষকে আহবান জানান। শেষে মরহুম ওহিদুজ্জামান চঞ্চল এর রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুল গফ্ফার।

ছাত্রদল খুলনা জেলা শাখার সাবেক সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফর উল্লাহ খান সাচ্চু, এড. ফজলে হালিম লিটন, শেখ ইকবাল হোসেন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, ইকবাল হোসেন খোকন, এড. গোলাম মওলা, মহিবুজ্জামান কচি, সাদিকুর রহমান সবুজ, গিয়াস উদ্দিন বনি, আনোয়ার হোসেন, আবুল কালাম শিকদার, ইউসুফ হারুন মজনু, শেখ জামিরুল ইসলাম জামিল, ইশহাক তালুকদার, আকরাম হোসেন খোকন, এইচ এম আবু সালেক, আশরাফ হোসেন, রবিউল ইসলাম রবি, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, মহিউদ্দিন টারজান, জাহিদ কামাল টিটো, ওমর ফারুক, রিয়াজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম বাবু, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, লিটু পাটোয়ারী, রফিকুল ইসলাম, কাজী ফজলুল কবির টিটো, ওলিয়ার রহমান, আলমগীর ব্যাপারী, সহিদ আল মামুন, তরিকুল আলম তুষার, মোহাম্মদ আলী, জাকারিয়া লিটন, আলমগীর হোসেন আলম, নুরুল ইসলাম লিটন, ওহাব শরীফ, ইকবাল হোসেন, সাকিল আহমেদ, গোলাম নবী ডালু, সেলিম বড় মিয়া, শরিফুল ইসলাম সাগর, সুলতান মাহমুদ সুমন, অরিফুর রহমান আরিফ, আব্দুর রব, মেহেদী হাসান মাসুম, মুশফিকুর রহমান অভি, ফিরোজ আহমেদ, পারভেজ মোড়ল, এমরান হোসেন, আব্দুল হাকিম, আবু দাউদ খান, শামীম খান, কামরুল ইসলাম খোকন, এড. রফিকুল ইসলাম, এড. ওমর ফারুক বনি, মীর মোহাম্মদ বাবু, হারুন হাওলাদার, মোস্তফা জামান মিণ্টু, সাজ্জাদ শেখ, আসাদুজ্জামান সানা, আবু তালেব, মারুফ হোসেন, হারুন অর রশিদ, মেজবাউল আলম পিন্টু, টিপু হাওলাদার, হাসমত হোসেন, মহিবুল্লাহ, জামান হোসেন, ইউনুচ শেখ, এম এ হাসান, শেখ আল মামুন, মাসুদ রুমী, মোস্তফা জামান নোমান, শাহনাজ মুন্না, অরিফুল ইসলাম, কবির বিশ্বাস, তুহিন ইসলাম, সাহাবুদ্দিন আহমেদ, জাহাঙ্গীর হোসেন দুলাল, আফান হোসেন, বায়জিদ শেখ, হেলাল চেীধুরী, মেহেদী হাসান, এম রিফাত, শেখ তরিকুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, রাজু হাওলাদার, নাজমুল ইসলাম, সজল সরকার, আশরাফুল মনি, তানভির প্রিন্স, সরাফাত, রাজন, মোল্লা আলী, মঞ্জুর ইকবাল টিটো, মনিরুজ্জামান মনি, শাহনাজ পারভীন, হুমায়ুন কবির, নুরে আব্দুল্লাহ, গৌতম দে হারু, মনিরুল হুদা লিটন, আলফাজ হোসেন, জলিল হাওলাদার, নাজমুল হোসেন, সৈয়দ গাজী প্রমুখ।