প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বুধবার (২৬ অক্টোবর) সিএসএস আভা সেন্টার রুপসা খুলনায় প্রমোটিং অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রাইটস প্রোগ্রামের অধীনে স্ট্রেংথেনিং অ্যাডভোকেসি ইনিশিয়েটিভস অফ দলিত কমিউনিটি (সেইড) শীর্ষক প্রকল্পের অধিনে নাগরিক সেবা প্রাপ্তিতে দলিত হরিজন জনগোষ্ঠির অন্তর্ভূক্তিতে করনীয় শীর্ষক সংলাপ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় এবং ইউএসএইড এর অর্থায়নে প্রকল্পটি ০১ লা এপ্রিল ২০২২ থেকে ডিসেম্বর ২০২২ ইং সময়ের জন্য দলিত (সেইড) প্রকল্পটি শুরু করেছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন মিসেস সিলভী হারুন, সভাপতি, সম্প্রীতি ফোরাম।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জনাব আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেক, মেয়র, খুলনা সিটি কর্পোরেশন,খুলন। তিনি খুলনা সিটি কপোরেশনে বসবাসরত দলিত হরিজন জনগোষ্ঠির সমস্যাসমূহ সমাধানের জন্য এক কার্যকারি ভূমিকা পালন করেন। তিনি সমস্যাসমূহ সমাধানের জন্য তাংক্ষনিক ফোন কলের মাধ্যমে বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেন এবং অতি দ্রুত সমাধানের জন্য বলেন।
তিনি দলিত হরিজনদের অগ্রগতির জন্য সর্বদা কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খান মোতাহার হোসেন, উপপরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, খুলনা, ডাঃ স্বপন কুমার হালদার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, খুলনা সিটি কর্পোরেশন, খুলনা, জান্নাতুল আফরোজ সরর্না, একজিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট, কেসিসি, খুলনা, এ কে এম আসাদুজ্জামান, শিক্ষা অফিসার, কেসিসি, খুলনা, এ্যাড. মোঃ মোমিনুল ইসলাম, সমন্বয়কারি, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাসÍবায়ন সংস্থা, খুলনা, আনিসুর রহমান বিশ্বাস, কাউন্সিলর ১৬ নং ওয়ার্ড, কেসিসি, খুলনা, শেখ মোহাম্মাদ আলী, কাউন্সিলর, ৫ নং ওয়ার্ড, কেসিসি, খুলনা, ৪, ১৭, ২১, ২৫ নং ওয়ার্ড এর সচিব, ইফ্ফাত জেরীন ,অ্যাডভোকেসি স্পেসালিস্ট ,কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল।
এছাড়াও উক্ত সংলাপ সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক, সম্প্রীতি ফোরাম এর সহসভাপতি ও সদস্যবৃন্দ, এজিও প্রতিনিধি, দলিত যুব ফোরাম এর সদস্যবৃন্দ এবং দলিত হরিজন প্রতিনিধি ( ওয়ার্ড নং- ৩,৪,৫,৭,১৪,১৬,১৭,২১,২৫ এবং ৩২ নং ওয়ার্ড দিঘলিয়া)।
বিকাশ কুমার দাস, কর্মসূচি প্রধান, দলিত, ইসরাত নূয়েরী হোসেন মুমু, মনিটরিং অফিসার, দলিত, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সংলাপ সভার কার্যক্রম তুলে ধরেন ও সঞ্চালনা করেন । লক্ষ্মী দাস, প্রকল্প কর্মকর্তা, সেইড, অরুন দাস, কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর, তারেক সরকার, স্বেচ্ছাসেবক, সেইড প্রকল্প সার্বিক সহযোগিতা করেন।
সভায় মোট অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ৫৯ জন যার মধ্যে ৪৫ জন পুরুষ এবং ১৪ জন মহিলা।
সুপারিশ সমূহ:
কালিমন্দির সংলগ্ন খাস পুকুরটি মন্দিরের নামে বন্দোবাস্ত করার ব্যবস্থা করা।
* এলাকার উন্নয়নের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা।
* সুপেয় পানির ব্যবস্থায় এলাকায় একটি টিউবওয়েল স্থাপন বা পুরাতন টিউবওয়েলটি সংস্কার করে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা।
* আবাসনের ব্যবস্থা।
* সমাজের মূলস্রোতধারায় অন্তর্ভূক্তকরনের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা।
* খুলনা সিটি কর্পোরেশনে বসবাসরত রাজবংশীদের (জেলে সম্প্রদায়) জেলে কার্ডের ব্যবস্থা করা।
* এলাকার পুকুরটি সংস্কারের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী করে তোলা।
* নিরাপত্তা নিশ্চিতকরনের জন্য এলাকায় বাউন্ডারী বা পকেট গেটের ব্যবস্থা করা।
* এলাকা ভিত্তিক নাগরিক সেবা সমূহের সাথে দলিত জনগোষ্ঠীদের অন্তর্ভূক্তকরনের ব্যবস্থা করা।
* যাতায়াত সুব্যবস্থায় রাস্তার ব্যবস্থা করা।
* এলাকায় কাচা ড্রেনগুলো সংস্কারের ব্যবস্থা করা।
* দলিত বিশেষ ভাতায় দলিতদের অন্তরভর্’ক্তি
* পরিচ্ছনতাকর্মী নিয়োগে হরিজনদের শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে।
(ঊষার আলো-এফএসপি)