ঊষার আলো রিপোর্ট : দেশব্যাপী লোডশেডিং, তেল-গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য গণসমাবেশের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) রংপুর বিভাগ। সমাবেশকে ঘিরে বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটে আসছেন নেতা-কর্মীরা। তবে পরিবহন ধর্মঘটে চাপ বেড়েছে ট্রেনে।
আজ শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ২টায় রংপুর শহরের কালেক্টরেট মাঠে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সরেজমিনে রংপুর রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যায়, যেসব ট্রেন রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসছে সেগুলোতে কোনো জায়গা খালি নেই। প্রতিটি বগিতে অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। অনেকে ইঞ্জিনের ওপরে, অনেকে ছাদের ওপরে চড়ে রংপুরে আসছেন।
পঞ্চগড়ের ভোজনপুর থেকে আসা রনি আহমদ বলেন, আমার বাড়ির পাশে সীমান্ত। জীবনের শুরু থেকে বিএনপির রাজনীতি করে আসছি। আজ দেয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে। আমরা আর পারছি না। আজ রংপুর থেকে সকলে মিলে আমরা অবৈধ সরকারের পতনের ডাক দেবো।
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার যাদুরানী থেকে আসা মিজানুর রহমান বলেন, আমি একজন দিনমজুর। দিনে এনে দিনে খাই। এক দিন কাজে না গেলে খাবার জোটে না। তবুও আজ কাজ ফেলে চলে আসছি। যুদ্ধ করে ট্রেনে উঠতে হয়েছে। এ সরকার আমাদের গরিবদের শেষ করে দিয়েছে। আমি সংসার চালাতে পারছি না। আমরা এ সরকারের পতন চাই।
ট্রেনে যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে রংপুর রেলওয়ে স্টেশনের পয়েন্টসম্যান (পিম্যান) হালিম আহমেদ বলেন, গতকাল ও আজ যে শুধু চাপ বললে ভুল হবে। দ্বিগুণেরও বেশি মানুষ আসছে। ট্রেনের ভেতরে কোনো ফাঁকা জায়গা নেই। যে যেভাবে পারছেন ট্রেনে চড়ে আসছেন। মূলত বাস বন্ধ হওয়ায় ট্রেনে চাপ বেড়েছে।
রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি এ কে এম মোজাম্মেল হক বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়কে ত্রি-হুইলার, নসিমন, করিমনসহ অবৈধ যান চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পরিবহন ধর্মঘট ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর আবার স্বাভাবিক নিয়মে গণপরিবহন চলবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর বিভাগীয় সমাবেশের সমন্বয়কারী এ জেড এম জাহেদ হোসেন বলেন, সব বাধা কাটিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসছেন। পরিবহন ধর্মঘট, হুমকি ও ভয় দেখিয়ে আমাদের পেছনে হঠানোর কোনো সুযোগ নেই।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি) কমিশনার নুরে আলম মিনা বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছি। সমাবেশ ঘিরে যাতে কোনো ধরনের সহিংসতা না ঘটে, সেজন্য কয়েক দফায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।
ঊষার আলো-এসএ
