ঊষার আলো ডেস্ক : সম্মিলিত ওলামায়ে কেরাম খুলনা’র পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বলা হয় যে, রমজানের সিয়াম সাধনার পর প্রদত্ত বিশেষ ইবাদতের নাম ছাদকায় ফিতর বা যাকাতুল ফিতর। সিয়াম পালনের মধ্যে যে সব ভুলত্রুটি হয়ে থাকে তার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য ছকতাতুল ফিতর আদায়ের বিধান নবী করীম (সঃ) প্রদান করেছেন। ছদকাতুল ফিতর শরীরের যাকাত। দরিদ্র মুসলিমদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ, রোজ রাখার কৃতজ্ঞতা স্বরূপ অসহায় দরিদ্র মিসকিনগণ ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে সেজন্যই ছদকাতুল ফিতর আদায় ওয়াজিব ও রমজানের রোযা ফরজ হয়। প্রত্যেক মুসলিমের উপর ঈদের নামাজের পূর্বে তার পরিবারের কর্তা ছহেবে নিসাব অর্থাৎ ৭১/২ ভরি স্বর্ণ বা ৫২১/২ তোলা রূপা অথবা সমপরিমাণ নগদ অর্থের মালিক হয় তাহলে তার নিজের উপর ও অধীনস্থ পরিবারের ছোট-বড় সকলের পক্ষ থেকে অর্ধ‘সা’ অর্থাৎ ১ কেজি ৭৫০ গ্রাম (প্রায়) আটা, যবের পরিবর্তে দেশের প্রধান খাদ্য হিসাবে চাল, খেজুর, কিসমিস ব্যক্তির আর্থিক অবস্থানুযায়ী আদায়ের বিধান রয়েছে। কাকে দিবেন যার উপর যাকাত ফরয নয় তারাই ছদকায়ে ফিতর পেতে পারেন। কখন দিবেন মহানবী (সঃ) ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে ছদকাতুল ফিতর আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন (সূত্র : মুসলিম শরীফ-১৬৩৬)। যদি কেহ ঈদের ২/১ দিন পূর্বে ছদকাতুল ফিতর আদায় করে তবে আদায় হয়ে যাবে (বোখারী শরীফ)। কোনো কোনো সকিহবিদগণের মতে এর পূর্বে আদায় করা যাবে। তবে ঈদের নামাজের পরে ছদকাতুল ফিতর আদায় করলে আদায় হবে না, তবে নফল ছদকা হিসাবে আদায় হবে। উল্লেখ্য কেহ যদি ঈদের নামাজের পূর্বে ছদকাতুল ফিতরের টাকা বা মাল পৃথক করে কারো জন্য নিয়ত করে আলাদা রেখে দেন, তবে তা কোন দোষণীয় নয়। উপরিউক্ত হাদিসের পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, ছদকায়ে ফিতরের মাল বা মূল্য বাজার দর রমজানের শেষ দিকে হওয়া বাঞ্ছনীয়। আটা বা খেজুরের মূল্য তথা বাজার দর ঈদপূর্ব সময়ে যা হয় সে অনুযায়ী হিসাব করে ছদকাতুল ফিতর আদায় করা কর্তব্য। রমজানের প্রথম দিকে মূল্য নির্ধারণ করে ছদকায়ে ফিতরের টাকা ঘোষণা দেওয়া অযৌক্তিক, কেননা বাজার দর কমবেশী হতে পারে। বিবৃতিদাতারা হলেন সংগঠনের সভাপতি মাওঃ ইব্রাহিম ফয়জুল্লাহ্, উপদেষ্টা উপাধ্যক্ষ মুফতী আঃ রাজ্জাক মিঞা, মুহাদ্দিস মাওঃ মনোয়ার হুসাইন মাদানী, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওঃ শফী উদ্দিন নেছারী, সদস্য সচিব উপাধ্যক্ষ মাওঃ ডি এম নূর ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক এস এম মুহিবুল্লাহ্, প্রচার সম্পাদক হাফেজ মাওঃ শাহাদাৎ হোসেন, মাওঃ মাহাদী হাসান কাওছারী, সদস্য মুফতী সিরাজুল ইসলাম বাজাজী, মাওঃ বায়জিদ হুসাইন, মাওঃ আব্দুল কাউয়ুম, মাওঃ গোলজার হুসাইন, মাওঃ মোঃ ওলিউল্লিাহ, মাওঃ আখতারুজ্জামান, মাওঃ মোঃ আবু হানিফ, মাওঃ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, মাওঃ মোঃ মোক্তার হুসাইন, হাফেজ মাওঃ সেলিম রেজা, পুলিশ অফিসার (অবঃ) ক্বারী মুহিবুল্লাহ্, হাফেজ মাওঃ মোস্তফা, মাওঃ মিজানুর রহমান, মাওঃ আঃ লতিফ, মাওঃ খলিলুর রহমান, মাওঃ শাফায়েতুল ইসলাম, হাজী শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
(ঊষার আলো-এমএনএস)