UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দৌলতপুর-খুলনা রুটে বেবীট্যক্সী চালকরা বেপরোয়া

usharalodesk
এপ্রিল ২২, ২০২১ ৯:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মানছে না সরকারি নির্দেশনা; আদায় করছে অতিরিক্ত ভাড়া

ঊষার আলো প্রতিবেদক : সারা পৃথিবী জুড়ে কোভিড-১৯ মহামারী দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাতে বাংলাদেশে ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয় সরকার। কঠোর লকডাউনের মধ্যে সরকারি নির্দেশ মোতাবেক সবকিছুই বন্ধ থাকে। বিনা প্রয়োজনে কোনো কারণ ছাড়া এবং মেডিকেল ছাড়া কোথাও বের হওয়া নিষেধ করেই আইনি নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। তার মধ্যেও কিছু কিছু যানবাহন রাস্তায় চলছে লকডাউনকে উপেক্ষা করে। খুলনা-দৌলতপুর-ফুলতলা থেকে মাহিন্দ্রা, অতুল ও সিএনজি গাড়িগুলো চলছে। জনগণ নিষ্পেষিত হচ্ছে এদের কাছে। সাধারন যাত্রীরা বলছেন, ভাড়া দৌলতপুর থেকে খুলনা ১৮ টাকা সেখানে একজন যাত্রীর নিকট থেকে নিচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা, ফুলবাড়িগেট থেকে খুলনা ৩০ টাকা সেখানে ৪০ টাকা। প্রতিটি প্যাসেঞ্জারকে নাজেহাল করছে গাড়িতে ওঠার পরেই তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা। দৌলতপুর খুলনা বেবি ট্যাক্সি ড্রাইভার ইউনিয়নের সদস্য মোঃ নিজামের সাথে তিনি তার গাড়িতে প্যাসেঞ্জার ডেকে তুলছেন, গাড়িতে তখন চারজন যাত্রী থাকাকালীন তার সাথে কথা হয়। তিনি দৌলতপুর থেকে ডাকবাংলা ৩০ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছেন এবং স্বাস্থ্যবিধি কোন বালাই নেই। মাক্স ছাড়া বাহিরে বের হওয়া নিষেধ থাকলেও অনেকেই মাক্স না পরে চলাচল করছেন। তিনি সামনে এবং পিছনে তিনজন যাত্রী নিয়ে চলে গেলেন। যাত্রী আব্দুর রহমান তিনি বলেন, আমার হসপিটালে যেতে হবে, তাই আমি যাচ্ছি এখন উপায় নেই ভাড়া বেশি দিয়ে হলেও আমার হসপিটালে যেতে হচ্ছে। সি এন জি গাড়ির ড্রাইভার (খুলনা মেট্রো ট-১১-১৩৭৫) মোঃ রুবেল। ৩০ টাকা ভাড়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের এখন গাড়ি মাঝে মধ্যেই পুলিশ ধরে। অল্প গাড়ি চলছে। গাড়ি পুলিশ ধরলে অনেক টাকা জরিমানা দিতে হয়। এর জন্যই আমরা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে যাত্রীদের নিকট থেকে। দৌলতপুর খুলনা বেবী ট্রাক্সি থ্রী হুইলার ড্রাইভার্স্ (রেজি নং ৮৩) ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মামুন গাজী বলেন, আইনগত কোনো আমাদের গাড়ি চালানোর নির্দেশনা নেই। যারা চালাচ্ছে নিজ দায়িত্বে ও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে। খুবই স্বল্প সংখ্যক গাড়ি চলছে। এ বিষয়ে ইউনিয়ন কোন দায়দায়িত্ব নিতে পারবো না বলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন।
এই করোনা কালীন সময়ে সিএনজি, মাহিন্দ্রা ও অতুল দৌলতপুর থেকে খুলনা, খুলনা থেকে দৌলতপুর ফুলবাড়িগেট ফুলতলা চলাচল করছে। এ বিষয়ে দৌলতপুরে কর্মরত দৌলতপুর থানার এসআই রবিউল ইসলাম বলেন, এটা আমাদের দায়িত্ব না। এটা ম্যাজিস্ট্রেটকে সংবাদ দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে দিতে হবে।

(ঊষার আলো-এমএনএস)