UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রী পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের জীবনমান উন্নয়নে সমবায়কে গুরুত্ব দিয়েছেন

koushikkln
নভেম্বর ৫, ২০২২ ৭:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে দেশের সংবিধানে সমবায়কে মালিকানার দ্বিতীয় খাত হিসেবে নির্ধারণ করেন। বঙ্গবন্ধুর অন্যতম উন্নয়ন দর্শন ছিল সমবায়। গ্রামীণ অবকাঠামো পরিকল্পিতভাবে নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দর্শন ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ সহ অনেক মেগা প্রকল্প ও পদক্ষেপ নিয়েছেন।
জাতির পিতা চেয়েছিলেন গ্রাম ভিত্তিক সমবায়ের মাধ্যমে সম্মিলিত উদ্যোগকে জনগণের উন্নয়নে কাজে লাগাতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অনুরূপভাবে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের  জীবনমান উন্নয়নে সমবায়কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।
সকল সমবায়ীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সংসদ সদস্য বলেন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র্যমোচন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ১ লাখ ৯৬ হাজার সমবায় সমিতি রয়েছে, যার ব্যক্তি সদস্য প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ।
তিনি আরো বলেন, সমবায় দেশের কৃষি, মৎস্য চাষ, পশু পালন, দুগ্ধ উৎপাদন, পুষ্টি চাহিদা পূরণ, পরিবহন, ক্ষুদ্র ব্যবসা, আবাসন, নারীর ক্ষমতায়ন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
সমবায় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনতে আইন করা হয়। সমবায় খাতে বাজেট বৃদ্ধিসহ প্রশিক্ষণ, আর্থিক ও উপকরণ সহায়তা প্রদানের কারণে সমবায়ীদের জীবনমান ও সামাজিক উন্নয়ন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গ্রামের মানুষের আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত গ্রামীণ জীবনযাপনের সুযোগ ও গ্রাম থেকে শহরমুখী জনস্রোত কমাতে এ প্রকল্প ভূমিকা রাখবে।
আওয়ামী লীগ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করি, সরকারের এ লক্ষ্য পূরণে দেশের সমবায় সংগঠনগুলো অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা সকলে মিলে সক্ষম হব। ইনশাল্লাহ।
জাতীয় সমবায় দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’কে সামনে রেখে রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসন ও সমবায় বিভাগের আয়োজনে, আলোচনা সভা  অনুষ্ঠান শনিবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় অফিসার্সক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
রুপসা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া তাছনিম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাদশা, ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা  আফরোজ মনা, জাতীয় ক্রীড়া ব্যাক্তিত্ব মিস্টার আজাদ আবুল কালাম, কৃষি কর্মকর্তা মো: ফরিদুজ্জামান, মৎস্য কর্মকর্তা বাপী কুমার দাস, কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার ব্যনার্জী।
এ সময় বক্তৃতা করেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা:প্রদীপ কুমার মজুমদার,  সমাজসেবা কর্মকর্তা জেসিয়া জামান,  নির্বাচন কর্মকর্তা মোল্লা নাসির আহমেদ,  বিআরডিবি কর্মকর্তা তারেক আজিজ, আইসিটি কর্মকর্তা  মো:রেজাউল করিম,মহিলা  বিষয়ক কর্মকর্তা মনোয়ারা খানম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: বজলুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ মোরশেদুল আলম বাবু, সুশীল পাল, আশিষ রায় প্রমূখ।
তেরখাদা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম মোঃ শারাফাত হোসেন মুক্তি, উপজেলা প্রকৌশলী শেখ ওয়ালিদ ইবনে হাসান,  সমবায় কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মতিন, বিআরডিবির চেয়ারম্যান মোঃ সালাউদ্দিন। সভায় বিভিন্ন এলাকার সমবায়ী উপস্থিত ছিলেন।
দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল আলম এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ মারুফুল ইসলাম, দিঘলিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (দায়িত্ব প্রাপ্ত) রিপন কুমার সরকার, সমবায় অফিসের সহকারী পরিদর্শক মোঃ জাহিদুর রহমান ও মোঃ হেকমত আলী,বিশিষ্ট সমবায়ী মোঃ গোলাম মোস্তফা সহ সুধীজন,সাংবাদিক বৃন্দ।