ঊষার আলো রিপোর্ট : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন কাহিনী নিয়ে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে অবস্থান করছে বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর। এ জাদুঘর অবলোকন করে মুগ্ধ হচ্ছেন শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষজন। এতে তারা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বিভিন্ন অজানা তথ্য জানতে পারছেন।
সোমবার (৭ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের ৩ নম্বর প্লাটফর্মে একটি বিশেষ ট্রেন দাঁড়িয়ে রয়েছে। বিশেষভাবে সাজানো এই ট্রেনের একটি বগিতে ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর। বাকি দুটি বগি দায়িত্বরত সংশ্লিষ্টদের জন্য বরাদ্দ।বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন উঠে এসেছে এ জাদুঘরের প্রদর্শনীতে।
জাদুঘরের নান্দনিক সাজ আগতদের বেশ আকৃষ্ট করেছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগিটি বেশ পরিপাটি। সেই বিশেষ বগিটিতে উঠতেই কানে আসে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। দরজার পাশেই মুজিব শতবর্ষের লোগোসহ বঙ্গবন্ধুর ছবি। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জীবনসংগ্রাম ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ছবির মাধ্যমে।
আবছা আলোয় বেশ সুন্দর দেখাচ্ছিল এসব ছবি। বঙ্গবন্ধুর আদি পৈতৃক বাড়ি, জাতির জনকের সমাধিস্থল, জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, মুজিব কোট, বঙ্গবন্ধুর চশমা, মুজিবনগর, স্মৃতিসৌধ ইত্যাদির ছবি ও প্রতিচ্ছবি রয়েছে জাদুঘরটিতে। এছাড়ও প্রদর্শিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জীবনসংগ্রাম নিয়ে ভিডিও।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা কিছু বই দিয়ে সাজানো হয়েছে জাদুঘরটির একটি তাকে।ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর দেখতে আসা সাবাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিপন মিয়ার জানায়, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরে খুশি লাগছে।শায়েস্তাগঞ্জ জংশনে দায়িত্বরত রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য বলেন, বিভিন্ন বয়সের অনেক মানুষ আসছেন জাদুঘরটি দেখতে। বেশ সাড়া ফেলেছে এ জাদুঘরটি।
শায়েস্তাগঞ্জের স্টেশন মাস্টার মো. আবুল খায়ের চৌধুরী জানান, ৬ নভেম্বর থেকে শায়েস্তাগঞ্জে এই ভ্রাম্যমাণ জাদুঘরের প্রদর্শন শুরু হয়। চলবে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ও বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিনা প্রবেশ ফিতে দর্শনার্থীরা এখানে আসতে পারছেন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল জানান, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। এর মধ্য দিয়ে বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে আরো ভালো করে জানতে পারবে। এ ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর বিষয়ে আরো প্রচারণার প্রয়োজন রয়েছে।ইউএনও নাজরাতুন নাঈম বলেন, এ জাদুঘর থেকে নতুন প্রজন্মরা ইতিহাস জানতে পারছে।
রেল বিভাগের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়।উল্লেখ্য, ১০০ মিটার লম্বার দুটি বিশেষ বগিতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জাদুঘর করা হয়। নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও দেশ সম্পর্কে আরো বেশি জানাতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ উদ্যোগ নেয়।
ঊষার আলো-এসএ