UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির আলোচনা সভা

koushikkln
নভেম্বর ৭, ২০২২ ১০:৩০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বরের পরাজিত শক্তি ওয়ান-ইলেভেনের মাধ্যমে আবারও আবির্ভূত হয়েছে। এই অপশক্তি পিলখানায় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ করেছে। আর গণতন্ত্রের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আঘাত করেছে। অচিরেই বিএনপি চেয়ারপারসন তারেক রহমান দেশ রক্ষার আন্দোলনের ডাক দেবেন। দেশ অচল করে দিয়ে সেই আন্দোলনে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।

৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে খুলনায় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল এ কথা বলেন। সোমবার বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের লিয়াকত আলী মিলনায়তনে বিএনপি মহানগর ও জেলা শাখার যৌথ আয়োজনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আজিজুল বারী হেলাল বলেন, চুয়াত্তর সালে আওয়ামী শাসনামলে দেশ দূর্ভিক্ষের কবলে পড়েছিল। দেশে আর একটি দূর্ভিক্ষ আসতে চলেছে বলে প্রধানমন্ত্রীর হুশিয়ারী দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করতে হলে আমাদেরকে ৭ নভেম্বরের চেতনা ধারণ করতে হবে। অপশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে হয় জয়লাভ করতে হবে নতুবা বীরের মতো মরতে হবে।

মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপির সম্মানিত সদস্য রকিবুল ইসলাম বকুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান। সঞ্চালনা করেন মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী। সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সহ সভাপতি মোঃ রাশিদুল ইসলাম ও এনটিভির ব্যুরো প্রধান আবু তৈয়ব।
সিলেটে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, সিলেটের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ফুঁসে উঠেছে। কিশোরগঞ্জে কৃষক দলের সম্মেলনে হামলা ও গুলিতে অন্তত ৮০ নেতাকর্মী আহত হওয়ার পর সেখানে আওয়ামী হামলাকারীদেরকে মোকাবেলা করা হয়েছে। হেলাল বলেন, রক্তচক্ষু দেখিয়ে লাভ নেই। রাজপথে কাউকে এক বিন্দু ছাড় দেয়া হবেনা।

আলোচনা সভার প্রধান বক্তা রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বারবার দেশে আর একটি দূর্ভিক্ষ আসছে বলে দাবি করছেন। এই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। দেশের বিভাগীয় সদর গুলোতে বিএনপির ডাকা কর্মসূচিতে জনতার ঢল নামছে। জনগন একত্রিত হচ্ছে। শিগগিরই দেশ রক্ষার আন্দোলন আসছে। তারেক রহমান আন্দোলনের ডাক দেবেন। ঘোষণা মাত্র দেশ অচল করে দিতে হবে।
৭ নভেম্বরের বিপ্লবকে পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ততম বিপ্লব হিসেবে বর্ণনা করে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ৩ থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে কার্যত কোন সরকার ছিলনা। ক্যান্টনমেন্ট ও বঙ্গভবনের মধ্যে দ্বন্দ তৈরি হয়। ক্যু এবং পাল্টা ক্যুর ঘটনায় মানুষ আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়ে। সম্প্রসারণবাদী আধিপত্যবাদী শক্তির দোসরেরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের চক্রান্ত করতে থাকে। অপর দিকে জাসদ বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার ব্যানারে রক্তাক্ত অভ্যূত্থানের চেষ্টা চালায়। তবে সেনানিবাসের সাধারণ সিপাহী ও দেশের আপামর জনতা সব চক্রান্তকে নস্যাত করে জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করেন এবং রাষ্ট্রভার অর্পণ করেন। একাত্তরে দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল। কিন্ত কোন সার্বভৌমত্ব ছিলনা। ৭ নভেম্বরের পর সেই মর্যাদা ফিরে আসে।

আলোচনায় অংশ নেন আবু হোসেন বাবু, কাজী মোঃ রাশেদ, খান জুলফিকার আলী জুলু, স ম আব্দুর রহমান, সৈয়দা রেহানা ঈসা, কাজী মাহমুদ আলী, মোস্তফা উল বারী লাভলু, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, বদরুল আনাম খান, অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল, মাহবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, আশরাফুল আলম খান নান্নু, মাসুদ পারভেজ বাবু, শামসুল আলম পিন্টু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ মিরাজ, এনামুল হক সজল, ফখরুল আলম, শেখ জাহিদুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, হাফিজুর রহমান মনি, আশফাকুর রহমান কাকন, অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম, ডাঃ আব্দুল মজিদ, বেগ তানভিরুল আযম, খায়রুল ইসলাম খান জনি, রোবায়েত হোসেন বাবু, আব্দুস সাত্তার, অসিত কুমার সাহা, শাকিল আহমেদ দিলু, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, কে এম হুমায়ুন কবির, ইলিয়াস মল্লিক, শেখ আসগর আলী, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, কাজী মিজানুর রহমান, মোঃ হাফিজুর রহমান, সুলতান মাহমুদ, এহতেশামুল হক শাওন, অ্যাডভোকেট তৌহিদুর রহমান চৌধুরী তুষার, একরামুল কবির মিল্টন, মনিরুজ্জামান লেলিন, নাজিরউদ্দিন আহমেদ নান্নু, এস এম মুর্শিদুর রহমান লিটন, হাবিবুর রহমান বিশ^াস, হাসান উল্লাহ বুলবুল, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী বাবু, আরিফুর রহমান, খন্দকার ফারুক হোসেন, শরিফুল আনাম, সরোয়ার হোসেন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, রফিকুল ইসলাম বাবু, গাজী আফসারউদ্দিন, সাইদুজ্জামান খান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, হাসনাত রিজভী মার্শাল, নাসির খান, সরদার আব্দুল মালেক, রাহাত আলী লাচ্চু, আলমগীর হোসেন, আব্দুর রহমান ডিনো, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, ফারুক হোসেন হিল্টন, তারিকুল ইসলাম, মোঃ জাহিদুল হোসেন জাহিদ, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, শামসুল বারিক পান্না, ফারুক হোসেন, আজিজা খানম এলিজা, যুবদলের আব্দুল আজিজ সুমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আতাউর রহমান রুনু, ইউসুফ মোল্লা, ছাত্রদলের ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, মোঃ তাজিম বিশ^াস, সাইফুল ইসলাম খান, মহিলা দলের অ্যাডভোকেট তসলিমা খাতুন ছন্দা, অ্যাডভোকেট কানিজ ফাতেমা আমিন, আনজিরা খাতুন, হালিমা আক্তার খানম, নিঘাত সীমা, সালমা বেগম, রোকেয়া ফারুক, চমন আরা,শাহনাজ সরোয়ার, শামসুন নাহার লিপি, কৃষক দলের মোল্লা কবির হোসেন, আক্তারুজ্জামান তালুকদার সজীব, শেখ আবু সাঈদ, শ্রমিক দলের খান ইসমাইল হোসেন, থানা ও ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোল্লা সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান খান, মোজাফফর হোসেন, এমদাদুল হক, এমদাদ হক, সরদার লিয়াকত হোসেন লাভলু, মোঃ লিটন খান, জাহিদুর রহমান রিপন, আসাদুজ্জামান আসাদ, মোঃ আলতাফ হোসেন, সিরাজুল ইসলাম লিটন, কাজী কামরুল ইসলাম বাবু, মনিরুজ্জামান মনি, নজরুল ইসলাম, কে এম মাহবুব আলম, সালাহউদ্দিন মোল্লা বুলবুল, মোঃ শহীদ খান, মতলেবুর রহমান মিতুল প্রমুখ। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দল নেতা মাওলানা ফারুক হোসাইন।