UsharAlo logo
শনিবার, ৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগামী সপ্তাহে টুকু-আমানের আপিল শুনবেন হাইকোর্ট

ঊষার আলো
নভেম্বর ১৪, ২০২২ ১:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : দুর্নীতির মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য আগামী ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আমান উল্লাহ আমানের সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য ২৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।আদালতে বিএনপি নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।

৪ কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে ২০০৭ সালের মার্চে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় এই মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী। কমিশনের উপ-পরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভূঞা ওই বছরের ২৮ জুন মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র পেশ করেন।

পরে সেই বছরের ১৫ নভেম্বর এ মামলার রায়ে টুকুকে নয় বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১১ সালের ১৫ জুন তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট।হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ।আপিল বিভাগের এই রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করেন টুকু। পরে সেই আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

এদিকে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। পরে ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন হাইকোর্ট।

পরে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়।

আপিল বিভাগের এই রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করেন আমান। পরে সেই আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর হাইকোর্ট বিভাগে এসব আপিলের পুনঃশুনানি শুরু হয়।

ঊষার আলো-এসএ