UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খানজাহান আলী থানা এলাকার বিভিন্ন সড়কে যত্রতত্র স্পিড ব্রেকার, রং, সংকেত কিছুই নেই! ঘটছে দুর্ঘটনা

pial
নভেম্বর ২৪, ২০২২ ৫:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি : খানজাহান আলী থানা এলাকার বিভিন্ন সড়কে স্পিড ব্রেকারে কোনো রং বা সাংকেতিক চিহ্ন না থাকায় প্রায়ই ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে।

কোন রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অপরিকল্পিতভাবে আটরা গিলাতলা ,যোগিপোল ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে ব্যক্তি উদ্যোগে যত্রতত্র স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য স্পীড ব্রেকার। স্পিড ব্রেকার তৈরি করায় ওই সকল রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

যার কারণে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হচ্ছে।স্পিড ব্রেকারগুলোর আগে পরে নেই কোন প্রতিকী চিহ্ন, লেখা নেই কোন সতর্কবানী। এমনকি রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়নি ওই স্পিড ব্রেকারগুলো।কিছু কিছু স্পিড ব্রেকার এতো উঁচু যে, এগুলোর উপর দিয়ে গাড়ি চালানোর সময় বেশ জোরে ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়, এসব রাস্তায় যাতায়াতকারী রোগী ও শিশুরা ঝাঁকুনিতে প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অসুস্থ রোগিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জীবনের ঝুঁকিতে পরেছে।

সড়কের পাশে কেউ নতুন বাড়ি নির্মাণ করলে সেখানে দেয়া হয় একটি স্পিড ব্রেকার। সড়কের পাশে পাঁচ-সাতটি দোকান থাকলেই তার দুই পাশে দেয়া হয়েছে গতিরোধক। বাড়ি, দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনার সামনে ইচ্ছামতো দেয়া হয়েছে গতিরোধক। রং না থাকায় গ্রামীণ সড়কে গতিরোধকগুলো রাতে বোঝার উপায়ও নেই।অবাধে স্পিড ব্রেকার নির্মাণ করায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গিলাতলা ,শিরোমনি, যোগিপোল সহ খানজাহান আলী থানা এলঅকার ভিবিন্ন সড়কে প্রায় ২৫ টিরও বেশি গতিরোধক (স্পিড ব্রেকার রয়েছে। শিরোমনি পশ্চিমপাড়া এলাকার ইজিবাইক চালক নজরুল জানান জানান, অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত এই স্পিড ব্রেকারগুলোর কারণে সাইকেল, ভ্যান, মোটরসাইকেল চালকরাও সমস্যায় পড়েছেন। প্রতিদিন ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। অতি দ্রুত এসব অপরিকল্পিত স্পিড ব্রেকার অপসারণের দাবী জানান তিনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কোন প্রকার নিয়ম না মেনে রাস্তায় ইচ্ছামাফিক স্পিড ব্রেকার বসানো হচ্ছে, সেখানে কোন প্রতিকী চিহ্ন, লেখা নেই কোন সতর্কবানী। এমনকি রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়নি যার কারনে এলাকার লোক এর পাশাপাশি বহিরাগত লোকজন প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে এতে অনেকের হাত পা ভাঙ্গা সহ চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে।

গিলাতলা মিনাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আঃ সামাদ বলেন গত ১৯ নভেম্বর সন্ধার পর একজন এনজিও কর্মি স্পিডব্রেকারের উপর মটরসাইকেল নিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পরে এতে ওই এনজিও কর্মি তার মাথায় রক্তাক্ত জখম হয় বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শিরোমনি বাজারের মাছ ব্যবসায়ি মোঃ জামাল হোসেন বলেন, একটু পর পরই বিটের তো দরকার নাই। অনেক জাগাতে বিট দেওয়া হয়েছে। ফাঁকা জাগাতেও আছে। প্রতিনিয়ত মোটরসাইকেল পল্টিখায়। এলাকাবাসির দাবি অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্পিড বেকার যথাসম্ভব অপসারণ করে সাধারন মানুষের চলাচল নিরাপদ করা হোক।

গ্রামের সড়কগুলিতে যত স্পিড ব্রেকার ততই দুর্ঘটনার পাশাপাশি ভোগান্তি রয়েছে জনসাধারণের বলে মনে করেন তারা। রাজু হোসেন নামে এক মোটরসাইকেলচালক বলেন, ‘বিটগুলো যে উঁচু করে এবং ঘনঘন দিছে তাতে করে ব্রেক করতে করতে উল্টে পড়তে হয়। আর রাতে তো সড়কে এগুলো আছে কি না তা দেখা যায় না। কোনো মোটরসাইকেলচালক এই সড়কে প্রথম গেলে অবশ্যই দুর্ঘটনার কবলে পড়বেন। এর দায় কে নেবে?’এ বিষয়ে নিরাপদ সড়ক চাই খানজাহান আলী থানা শাখার সাধারন সম্পাদক শেখ আব্দুস সালাম বলেন, স্পিড ব্রেকার নিয়ে আমরা বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছি। ‘বিশেষ করে সড়কে গতিরোধক আছে রাতের বেলায় সেটি বোঝাতে অবশ্যই সাদা রংসহ জেব্রা চিহ্ন ও বিভিন্ন নির্দেশক চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে দুর্ঘটনা কমবে না, বাড়বে। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে স্পিড ব্রেকার নির্মাণ করেন। এছাড়া বিভিন্ন মিটিংয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলেও মাঠ পর্যায় আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পারি না। এ স্পিড ব্রেকার অপসারণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলেও তিনি জানান।

(ঊষার আলো-এফএসপি)