UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনালী জুট মিল বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ 

koushikkln
ডিসেম্বর ৫, ২০২২ ১০:২৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি: নগরীর মিরেরডাঙ্গা শিল্প এলাকার আংশিক চালুকৃত সোনালী জুট মিল বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) বিকাল ৪ টায় মিল অভ্যান্তর থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে সাধারন শ্রমিক কর্মচারীরা ।মিছিলটি ১ নং গেটে গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে এর মাধ্যমে শেষ হয়।

সোনালী জুট মিল এডহক কমিটির আহবায়ক বিল্লাল মোড়লের সভাপতিত্বে ও শ্রমিক নেতা বাবুল শেখ এর পরিচালনায় বক্তৃতা করেন এডহক কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান, আফিলউদ্দিন, শাহাজান সার্জেন্ট প্রমুখ। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন সুপরিকল্পিত ভাবে একটি মহল নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সোনালী জুট মিলটি বন্ধের পায়তারা করছে, তারা কোনভাবেই চাইনা শ্রমিকরা কাজ করুক ভালো থাকুক। অথচ যারা মিল বন্ধের ষড়যন্ত করছে তারাই ইতিপুর্বে ২ বছর সিবিএ নেতা থাকা অবস্থায়, মেয়াদ পার হওয়ার পরও আরো ২ বছর বিভিন্নভাবে ক্ষমতায় ছিলো , শ্রমিক নেতারা বলেন ইতিপুর্বে তৎকালীন সিবিএ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজিউর রহমান নজরুল এর নেতৃত্বে মিল থেকে কোটি কোটি টাকার মালামাল রাতের আধারে বের করে বিক্রি করে , যা হাতেনাতে সোনালী ব্যাংক কতৃপক্ষ ধরে ফেলে এবং আদালতে এ নিয়ে মামলা হয়। এর মধ্যে রশিদ গ্রপ কে ১০ কোটি টাকার পাটজাত পন্য ও কাঁচাপাট রেখে মিল থেকে বের করে দেয় তৎকালীন সিবিএ নেতা নাজিউর রহমান নজরুল ।

এছাড়া পূরবী ট্রেডাসের ৪ কোটি নিউ বসুন্ধারা ৫ কোটি টাকার মালামাল লুট করে সিবিএ নেতা নাজিউর রহমান নজরুল এবং ৪ বছরে মিলটি পরিকল্পিতভাবে কয়েকদফা বন্ধ রেখে রাতের অন্ধকারে ষ্টোর থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকার মালামাল লুট করে । সমাবেশে শ্রমিক নেতারা বলেন সে সময়ে ১ জন শ্রমিক নেতা ১০ থেকে ১২ হাজার করে টাকা বেতন নিতো কতৃপক্ষের কাছ থেকে । শ্রমিক নেতারা বলেন মিলের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে মিলটির সার্বিক বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুনুজান সুফিয়ান এমপি ও খুলনা বিভাগীয় শ্রম পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান খোজ খবর রাখছেন। ২০২০ সালের ১১ এপ্রিল সোনালী জুট মিলের নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হলেও বৈশি^ক মহামারী করোনার প্রভাবে মিলটি বন্ধ হয়ে গেলে নির্বাচনও বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বিভিন্ন সময়ে মিলটি আংশিক চললেও কর্মরত থাকে ২ থেকে আড়াইশ” শ্রমিক, যেখানে মিলের স্থায়ি শ্রমিক সংখ্যা ২ হাজার এর ও বেশি। কম শ্রমিক থাকাতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাড়ায় । তারপরও একটি মহল বিভিন্ন রকমের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছেন, এ বিষয়ে শ্রমিক কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান এডহক কমিটির নেতারা।