UsharAlo logo
শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনা ডিসি ও ডুমুরিয়ার টিএনওকে হাইকোর্টে তলব

koushikkln
ডিসেম্বর ৭, ২০২২ ১১:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : নির্দেশ দেওয়ার পরও খুলনার ডুমুরিয়া দিয়ে প্রবাহিত ভদ্রা ও হরি নদীর জায়গা দখল করে গড়ে তোলা ১৪টি ইটভাটা উচ্ছেদ না করায় খুলনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১০ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০ টায় তাদের হাজির হতে বলা হয়েছে। সূত্র : কালের কণ্ঠ অনলাইন

বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘১৪টি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে আদালতের নির্দেশ থাকলেও তা না করার ব্যাখ্যা জানতে তাদের তলব করা হয়েছে। ‘

ভদ্রা ও হরি নদীর জায়গায় গড়ে তোলা ইটভাটা সরাতে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে গত বছর ২২ ফেব্রুয়ারি রিট করা হয়। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত রুলসহ আদেশ দেন। এইচআরপিবির আবেদনে খুলনার ডিসি হিসেবে মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার ও ডুমুরিয়া ইউএনও হিসেবে শরীফ আসিফ রহমানের নাম রয়েছে। কিন্তু গত ২ নভেম্বর প্রশাসনের যে ১৭৫ উপসচিবকে পদোন্নতি দিয়ে যুগ্ম সচিব করা হয়, তাদের মধ্যে আছেন মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারও। তার পদোন্নতির পর গত ২৩ নভেম্বর খন্দকার ইয়াসির আরেফীনকে খুলনার ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।

আদেশ খুলনার ডিসি ও ডুমুরিয়ার ইউএনওকে সিএস-আরএস অনুসারে জরিপ চালিয়ে ভদ্রা ও হরি নদীর সীমানা নির্ধারণ করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী খুলনার জেলা প্রশাসন জরিপ চালিয়ে নদী দুটির জায়গা দখল করা ১৪টি ইটভাটার তালিকা আদালতে দাখিল করে। এরপর ইটভাটা উচ্ছেদের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করলে আদালত গত বছর ১৪ ডিসেম্বর ৬০ দিনের মধ্যে ১৪টি ইটভাটা উচ্ছেদ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

কিন্তু আদালতের নির্দেশ মত তা না করায় এইচআরপিবির আবেদনে খুলনার ডিসিসহ বিবাদীদের বিরুদ্ধে গত ২৫ অক্টোবর আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয়। দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব চান আদালত। এরপরও ইটভাটা উচ্ছেদ না করায় খুলনার ডিসি ও ডুমরিয়া ইউএনওর ব্যক্তিগত হাজিরা চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ডিসি-ইউএনওকে তলব করেন উচ্চ আদালত।