UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডাকবাংলো মোড়ের জমি নিয়ে কেসিসি-জেলা পরিষদ সিদ্ধান্তে অনঢ়

koushikkln
ডিসেম্বর ৮, ২০২২ ১০:৩৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : খুলনা নগরীর ডাকবাংলো মোড়ে জেলা পরিষদের নির্মাণাধীন মার্কেটে সমস্যা নিয়ে খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও জেলা পরিষদের মধ্যে অনুৃষ্ঠিত বৈঠক অমিমাংশিতভাবে শেষ হয়েছে। যে যার সিদ্ধান্তে রয়েছেন অনঢ়। এতে করে শেষ পর্যন্ত সমস্যা সমাধানে আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার (০৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আঃ খালেক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম, সচিব মোঃ আজমুল হক, কেসিসির আইনজীবী এড. আইয়ুব আলী, এষ্টেট অফিসার মোঃ নুরুজ্জামান তালুকদার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মোঃ আসাদুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

সভায় সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে বলা হয়, তারা এসএ ও সিএস খতিয়ান মতে জমির মালিক কেসিসি। কিন্তু যে কোন উপায়ে রেকর্ড করেছে জেলা পরিষদের নামে। রেকর্ড বুনিয়াদে মালিক স্বত্ত্ব প্রমাণ করে না। যার জন্য কেসিসিকে তার সম্পত্তি ছেড়ে দেয়ার দাবি করা হয়। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে রেকর্ড তাদের নামে এ বিষয়টি তারা খুবই জোড়ালোভাবে উপাস্থাপন করে। কিন্তু রেকর্ড বুনিয়াদে সম্পত্তির মালিকানা দাবি করা যায় না বলে সচিব জানান। তারপরও জেলা পরিষদ গেটের তালা খুলে দেয়ার অনুরোধ জানায়। কিন্তু মেয়র তাতে নারাজ।

তিনি সাফ জানান, সমস্যার সমাধান ছাড়া গেটের তালা খোলা হবে না। এছাড়া কেসিসি তাদের মালিকানা দাবি করে গত ২০১৫ সালে আদালতে মামলা দায়ের করেন। যা বিচারাধীন। আদালত কি রায় দেয় সেই অপেক্ষায় থাকতে হবে সবাইকে। এছাড়া ডাকবাংলো মার্কেটের বাই সাইকেল বিক্রির দোকানের অংশে কেসিসি আরো সাড়ে তিনশতক জমি পাবে। যা লেয়ার যশোর সড়কের জায়গা বলে সভায় দাবি করে কেসিসি। একই সাথে এ বিষয়ে নতুন করে তদন্ত কমিটি গঠন হতে পারে বলে কেসিসির সচিব মোঃ আজমুল হক জানান।

২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং মহানগর আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সামসুজ্জামান মিয়া স্বপন বলেন, মেয়র আর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যতই বসুক না কেন, মেয়র তার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন। তিনি জমি ছাড়তে নারাজ। তিনি আরো বলেন, ডাকবাংলো সদর মার্কেটের ভেতর ১৮ শতাংশ জমির মালিক সিটি কর্পোরেশন। পাশে বঙ্গবন্ধু কর্ণার নির্মাণ করা হয়েছে, তা নিয়ে কোন আপত্তি নেই। সেখানে পুরানো দ্বিতলা ভবন ভেঙ্গে জেলা পরিষদ কেসিসি’র সাথে কোন রকমের আলোচনা না করেই গোপনে মার্কেট নির্মাণ শুরু করে দেয়। শ্রমিক ও মিস্ত্রি দিয়ে ৩৭টি দোকান নির্মাণ কাজ দ্রুত চালিয়ে যেতে থাকে। এ অবস্থায় কেসিসি মেয়রের নির্দেশে নির্মাণাধীন কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই সাথে প্রবেশ দ্বারে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সভায় ফলপ্রসু আলোচনা না হওয়ায় তা মূলতবী করা হয়। আগামী সোমবার দু’পক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বৈঠকে বসবেন। ওই সময় অসমাপ্ত বিষয় সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে তিনি জানান।

কেসিসির আইনজীবী এড. আইয়ুব আলী বলেন, সভায় যে যার অংশে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

উল্লেখ্য, ২০ নভেম্বর দুপুরে কেসিসি মেয়রের নির্দেশে ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর আ’লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সামছুজ্জামান মিয়া স্বপন ডাকবাংলো নির্মানাধীন মার্কেটেরগেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়।