UsharAlo logo
শুক্রবার, ১০ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভোজ্যতেল আমদানি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে : কৃষি সচিব

koushikkln
ডিসেম্বর ২৯, ২০২২ ১০:৪৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : কৃষি মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেছেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে ভোজ্যতেল আমদানি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে আলাপ-আলোচনা করেছেন এবং আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশের সকল অঞ্চলে জমিতে তেলজাতীয় শস্য অধিক মাত্রায় চাষ করে নিজেদের প্রয়োজনীয় ভোজ্যতেল উৎপাদনের নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, বছরে ২২ হাজার কোটি টাকার তেল আমদানি করতে হয়। অথচ দেশে সরিষা, সয়াবিন, সূর্যমুখী ফসলের চাষ বৃদ্ধি করে চাহিদার সিংহভাগ মেটানো সম্ভব। তিনি উপক‚লীয় কৃষির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গবেষকদের নতুন নতুন গবেষণা ও দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য আহŸান জানান। তিনি আরও বলেন, গবেষকদের সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে। একটি গবেষণার ফলাফল নেতিবাচক হলেই তা প্রকাশের আগে তা নিয়ে ক্রসচেক করা উচিত। তা নাহলে সমাজে বিভ্রান্তিকর বার্তা ছড়ায়। ফলে দেশের কৃষির তথা আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার ওপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
নবনিযুক্ত সচিব গতকাল ২৮ ডিসেম্বর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন আয়োজিত গবেষণার ফলাফল উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি জলজ উদ্ভিদ কচুরিপানা নিয়ে গবেষণার জন্য গবেষকদের আহŸান জানান। কেননা দেশের বিভিন্ন খাল-বিলে তা সহজে ব্যাপকভাবে উৎপন্ন হয় এবং ধান ও মৎস্য চাষে বিঘœ ঘটায়। অথচ এই কচুরিপানা দিয়ে উৎকৃষ্টমানের কম্পোস্ট সার তৈরিসহ বিভিন্নমুখী ব্যবহার উপযোগী দ্রব্য উৎপাদন করা যায়। এটি আমাদের জমিতে উর্বরতা বৃদ্ধি ও ব্যবহারিক ক্ষেত্রে কাজে লাগে। গবেষণার মাধ্যমে যদি এর ব্যবহারিক গুণগত দিক উদ্ভাবন করা যায় তাহলে কৃষক বা অন্যান্য জনগোষ্ঠী খাল-বিল থেকে কচুরিপানা সংগ্রহ করে তা দিয়ে বিভিন্ন দ্রব্য তৈরি করতে পারবে। এর মাধ্যমে খাল-বিল কচুরিপানা মুক্ত হবে। ফলে ধান ও মৎস্য উৎপাদন বাড়বে। তিনি আরও বলেন, আমাদের কৃষিতে বৈচিত্র্য রয়েছে। সেই সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চ্যালেঞ্জও রয়েছে। এসব বিষয় অভিযোজন করার জন্য গবেষণা প্রয়োজন। বর্তমান সরকার কৃষককে নানাভাবে প্রণোদনা দিয়ে উৎসাহিত করে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তাসহ নতুন নতুন কৃষিপ্রযুক্তি গ্রহণে উৎসাহিত করছে। সরকারের লক্ষ্য এখন কৃষিকে আরও লাভজনক করতে স্মার্ট কৃষি কর্মসূচি বাস্তবায়ন। তিনি উপক‚লীয় লবণাক্ত এলাকায় নতুন নতুন ফসল চাষের সম্ভাবনা নিরূপণ ও গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-গবেষকদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. শামীম আহমেদ কামাল উদ্দিন খানের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব নিযুক্ত হওয়ায় তাঁকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. ইয়াছিন আলী, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশীর আহমেদ, প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাতক্ষীরা উপকেন্দ্রের সিএসও তাহমিদ হোসেন আনসারী প্রমুখ। ফাইনাল আউটকাম অব দ্য প্রজেক্ট নিউট্রিয়েন্ট ম্যানেজমেন্ট ফর ডায়ভারসিফাইড ক্রপিং ইন বাংলাদেশ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল উপস্থাপনা করেন মুখ্য গবেষক প্রফেসর ড. মো. এনামুল কবীর। যেখানে জমিতে বিভিন্ন সার প্রয়োগের পরিমাণ ও উপকার তুলে ধরা হয়। একটি যৌথ গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের ৬টি স্থানে এই গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে এসময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হাফিজুর রহমানসহ ডিসিপ্লিনের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।