ঊষার আলো রিপোর্ট : “সোঁদামাটি গন্ধের টানে, বিলডাকাতিয়া’র নিমন্ত্রণে” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ডুমুরিয়ার ঐতিহ্যবাহী রঘুনাথপুর ইউনিয়নে রূপরামপুর দেলতলা মাঠে ৫ম বার্ষিকী ২দিন ব্যাপি বিলডাকাতিয়ার গ্রামীণ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে বিলডাকাতিয়া পিঠা উৎসব পর্ষদের আয়োজনে ফিতা কেটে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন সরকারি ব্রজলাল কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর শরীফ আতিকুজ্জামান।
অনুষ্ঠানের মাঠে ঢুকতেই প্রবেশ দ্বারে রয়েছে দুটি খেজুর গাছের রস আহরণে ঠিলে ঝুলানো দৃশ্য। এরপর অভ্যর্থনা কক্ষ, মাঠের চারপাশ ঘিরে রয়েছে রসের পিঠা,পাটিসাপটা,কুলি পিঠা,পায়েস ফ্লাওয়ার সহ হরেক রকমের পিঠার স্টল। এসব স্টলগুলো তত্ত্বাবধায়নে বেশির ভাগ ছিল নারীরা। গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী এ পিঠা উৎসব দেখতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত দর্শনার্থীদের ছিল উপচে পড়া ভীড়।
দোকানী প্রিয়া সরকার, মেঘা মন্ডল, বনানী বিশ্বাসসহ একাধিক নারী দোকানী ১৫/১৬ প্রকারের পিঠা তৈরি করে সাজিয়েছে তাদের দোকান। তারা একই সুরে সুর মিলিয়ে বলেন গত বছরের চেয়ে এ বছর আরও উৎসুক জনতা দেখা যাচ্ছে এবং বেচাকেনাও অনেক বেশি।
দর্শনার্থী ঘোনা বড়ডাঙ্গা এলাকার গৃহবধূ শিউলি মন্ডল ও ডুমুরিয়ার স্কুল শিক্ষক প্রভাষ চন্দ্র সরকার বলেন, গ্রামীন এ পিঠা উৎসবে এসে সত্যিই খুব ভাল লাগছে। এখানে ছনের তৈরি স্টলগুলো দেখতে আরও ভাল। মনোমুগ্ধকর পরিবেশে নানা রকমের পিঠা খেয়ে দারুন মজা পেয়েছি।
সন্ধ্যায় আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রভাষক ননী গোপাল মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন সরকারি ব্রজলাল কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর শরীফ আতিকুজ্জামান। আরও আলোচনা করেন সহযোগী অধ্যাপক শংকর কুমার মল্লিক, শিল্পকলা একাডেমী খুলনা কালচারাল অফিসার সুজিত কুমার সাহা, বিল্পবী চারু বসু স্মৃতি পরিষদের সভাপতি শফিক আহমেদ, কবি ফিরোজ আহমেদ ও সত্যরঞ্জন।
অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন কমিটির সদস্য সচিব রাজিব সরকার। এরপর রাতে এক মনোজ্ঞ লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।