UsharAlo logo
বুধবার, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দৌলতপুর মাছ বাজার লকডাউন ইস্যুতে চড়া ; ক্রেতাদের অভিযোগ

usharalodesk
এপ্রিল ২৬, ২০২১ ৯:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : করোনার কারণে লকডাউনে যানবহন বন্ধ আর রমজানকে ঘিরে দৌলতপুর মাছ বাজারে প্রায় সকল দেশী আর সামুদ্রিক মাছের দাম বেশি বলে অভিযোগ করেছেন বাজারে আসা সাধারণ মাছ ক্রেতাগণ। তাদের মন্তব্য, এটা অস্বাভাবিক কিছু না প্রতি রমজান মাসেই মাছের দাম বৃদ্ধি পায়। আর এবার তো করোনার আর লকডাউনের কারণে যানবহন বন্ধ থাকায় বাজারে মাছের সরবরাহ কম বলে মন্তব্য ব্যবসায়ীদের কিন্তু বাস্তব চিত্রে ক্রেতাদের অভিযোগ দৌলতপুর বাজারে দেশীয় ও সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ যথেষ্ট থাকলেও ক্রেতারা যেন ব্যবসায়ীদের নিকট অনেকটাই জিম্মি।
নগরীর দৌলতপুর ঐতিহ্যবাহী মাছ বাজার প্রতিদিনই শুরু হয় সকাল ৮ টা হতে আর চলে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত। তবে বরফজাত মাছগুলো আরো বেলা পর্যন্ত কেনাবেচা চলে। মাছ কেনার জন্য দৌলতপুরের আশপাশের স্থানীয় অঞ্চলের মানুষের সমাগম ঘটে।
সরেজমিনে, সোমবার (২৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টায় দেখা যায়, রুই, পাবদা, গলদা চিংড়ি, কই, তেলাপিয়া, গ্লাসকার্প, মিনারকার্প, ভেটকি, সামুদ্রিক কংকন, মৃগেল, সিলভারকার্প, কাতলা, পোয়া, বাইলে, দাতনে, পাঙ্গাস, বাইন, ট্যাংড়া, রুপচাদাসহ বিভিন্ন প্রকারের মাছ বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন , বাজারে প্রচুর দেশীয় মাছের সমাহার থাকলে বিক্রেতারা একটু বেশি দাম নিচ্ছেন। এ অভিযোগের বিপরীতে অধিকাংশ মাছ ব্যবসায়ী বলেছেন, বর্তমানে লকডাউনের কারণে যানবহন বন্ধ থাকায় বাজারে মাছের সরবরাহ কম যে দাম একটু বেশি। রুই প্রতি কেজি ১৬০-৩০০ টাকা, পাবদা ৩৫০-৫০০ টাকা গলদা চিংড়ি ৭০০-১২০০ টাকা, চাষের কৈ ১৬০-২০০ টাকা, দেশি কৈ ৮০০-১০০০ টাকা, তেলাপিয়া ১০০-১২০ টাকা, লাইলোটিকা বড় ২০০-৩০০ টাকা, গ্লাসকার্প ১৫০-২০০ টাকা, মিনারকার্প ১২০-২০০ টাকা, ভেটকি ৩০০-৬৫০ টাকা, সামুদ্রিক কংকন ৪০০ টাকা, মৃগেল ১৬০ হতে ৩৫০ টাকা, সিলভারকার্প ১২০-২০০ টাকা, কাতলা ২২০-৬০০ টাকা, বাইলে ৬০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৩০-২০০ টাকা, বাইন ৩০০-৬০০ টাকা, ট্যাংড়া ৪০০-৬০০ টাকা, শিং ৮০০-১০০০ টাকা, ফারসে ৪০০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ইলিশের তো কথায় নেই। ৪০০ হতে ১২০০ পর্যন্ত দাম রাখছে বিক্রেতারা। মাছ বিক্রেতা জয়নাল বলেন, আমরা খুলনা নতুন বাজার হতে মাছ কিনে এনে বিক্রি করে থাকি। কিন্তু লকডাউনের কারণে পাইকারী বাজারে মাছ সরবরাহ কম। তাই দাম একটু চড়া। পরিবহন ছাড়লে দাম কমে যাবে। বাজারে আসা ক্রেতা মামুন বলেন, বাজারে এসেছি মাছ কেনার জন্য কিন্তু চিড়িং মাছের দাম শুনে হতো বাগ। যে মাছ রমজানের আগে ৪০০টাকা কেজি ছিল, বর্তমানে তার দাম ৬০০ টাকা কেজি। এ ঠিক নয়। সব মিলিয়ে দৌলতপুর বাজারে দেশীয় মাছের প্রচুর সমারহ ঘটলেও দাম একটু চড়া বলে মন্তব্য করেছেন বাজারে আসা অধিকাংশ ক্রেতারা।

(ঊষার আলো-এমএনএস)