UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারীবান্ধব জাতীয় বাজেট চাই শীর্ষক আলোচনা সভা

usharalodesk
জানুয়ারি ১৭, ২০২৩ ৭:৪৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খবর বিজ্ঞপ্তি : নারী-পুরুষের সমতা অর্জনকে বেগবান করতে হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নারীর অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যাপক হারে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। অগ্রগতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নারী শিক্ষার মান উন্নয়ন, সৃজনশীল কর্মমুখী শিক্ষা এবং গবেষণায় নারীর অংশগ্রহণ ও অবদান প্রয়োজন। স্বাস্থ্যসেবার সম্প্রসারণে নারীর জন্য অর্থ বরাদ্ধ প্রয়োজন। তৃণমূলে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নেয়া হয়েছে অনেক রাজনৈতিক কর্মসূচি কিন্তু সেগুলো কতটা আলঙ্কারিক আর কতটা বাস্তবসম্মতভাবে নেয়া হয়েছে সেটিও মনিটরিং প্রয়োজন। কারণ কেবল পদায়নেই সমাধান আসেনা বরং নারী কাউন্সিলর বা জনপ্রতিনিধিদের আর্থিক ক্ষমতায়নকে স্বীকৃতি দিতে হবে বাজেটে। খাতওয়ারি বরাদ্ধ রাখতে হবে তাদের জন্য। উন্নত দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অনগ্রসর জনগোষ্ঠিকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে।

জনউদোগ খুলনার নারীবান্ধব জাতীয় বাজেট চাই বিষয়ক আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় স্থানীয় একটি সেমিনার কক্ষে জনউদ্যোগ,খুলনার উদ্যোগে নরীবান্ধব জাতীয় বাজেট চাই- সমতা ও ক্ষমতায়নে নারীর ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জনউদ্যোগ নারী সেলের আহবায়ক নারীনেত্রী এ্যাডঃ শামীমা সুলতানা শীলু। সভায় অতিথি ছিলেন খুলনা মহিলা বিষযক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসনা হেনা, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আমেনা হালিম বেবি, সাবেক থানা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রিনা পারভীন, গৃহসুখনের পরিচালক সালমা রহমান।

মূখ্য আলোচক ছিলেন জনউদ্যাগ খুলনার সদস্য সচিব মহেন্দ্রনাথ সেন।

ধারনাপত্র পাঠ করেন দৈনিক জন্মভূমির মফ:স্বল সম্পাদক মোরশেদ নেওয়াজ।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আলমাস আরা, মুক্তা জামান, উন্মুর রেদা, আফসানা চম্পা, মালা খাতুন, আম্মু মনোয়ারা বেগম, সম্পা আক্তার, ফাতেমা তুজ জোহরা, ঝরনা ঘোষ, নুসরাত জাহান, শবনম জাহিদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সমাজে নারীরা এখনও অনেক দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে। সম্পদের সমান অধিকার থেকে শিক্ষা, অর্থনীতি, রাজনীতির অনেক জায়গাতেই নারীদের পূর্ণ ও যৌক্তিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়নি। তাই মুখে আমরা যতই নারীর উন্নয়ন বা নারীর ক্ষমতায়নের কথাটি বলিনা কেন, এটিকে যদি জাতীয় পরিকল্পনায় আনা না যায় তাহলে এটি কেবল কথার কথাই থাকবে। পরিকল্পনায় আনাই কেবল কাজ নয়। এর সাথে সামঞ্জ্যস্য রেখে ব্যয়ের উৎসটিও বলে দিতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, প্রচুর নারী উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে এখন। কিন্তু এসব উদ্যোক্তাদের বেশিরভাগই কাজ করছে অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে। তাদের জন্য নেই কোন জাতীয় পরিকল্পনা বা নীতিমালা। আর্থিক সংকটে আছে অনেক উদ্যোক্তা। যার কারণে উদ্যোক্তা তৈরির মত এমন একটি সম্ভাবনাময় খাত উঠতে চেয়েও পারছে না। ঝাঁকে ঝাঁকে নারীরা এগিয়ে এসেও পিছিয়ে যাচ্ছে।